খেলাধুলাদৈনিক খবর

আমার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হচ্ছে ইনজুরি: সাইফউদ্দিন

এবার চোটের কারণে দীর্ঘ সময় ছিলেন মাঠের বাইরে সাইফউদ্দিন। এরপর জায়গা হারিয়েছেন বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও। সাইফউদ্দিনকে ফেরানো না হলেও ডাকা হয়েছে আরেক পেসার বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে।নির্বাচকদের বিবেচনায় থাকলেও খুব সহসাই দলে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে সাইফউদ্দিনের। গতকাল এমন আভাস মিলেছে নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য হাবিবুল বাশারের কন্ঠে।

অথচ সাদা বলের ক্রিকেটে টাইগারদের অপরিহার্য সদস্য ছিলেন ফেনীর এই ক্রিকেটার। আজ ১২এপ্রিল মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চোটে পড়ার পর এশিয়া কাপ দিয়ে দলে ফিরেছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু সেরা ছন্দ আর খুঁজে পাননি তিনি। বাদ পড়েছেন এরপরই। সবমিলিয়ে সাইফউদ্দিন কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন ইনজুরিকে।

সাইফউদ্দিন বলেন, ‘জীবনে তো উত্থান-পতন থাকে। এটা মেনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সবসময় চেষ্টা থাকে ফিট থাকা। যদি ফিট থাকি, আমি পারফর্ম করবো। আমার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হচ্ছে ইনজুরি। এটা যতদিন ভালো থাকবে…আমি এখন পুরোপুরি সুস্থ এবং ফিট আমি মনে করি। যদি কন্টিনিউ খেলতে থাকি, ইনশাআল্লাহ সুযোগ আসবে।’

ডিপিএলে আবাহনীর হয়ে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে বল হাতে ১৭ উইকেট শিকার করে দুর্দান্ত ফর্মে সাইফউদ্দিন। একই সাথে ব্যাট হাতে ৫ ইনিংসে সাইফউদ্দিনের সংগ্রহ ৬১ রান। এরমধ্যে ৪ ইনিংসেই অপরাজিত ছিলেন তিনি। বর্তমান ছন্দ ধরে রাখতে সামনে খুলে যেতে পারে সাইফউদ্দিনের সম্ভাবনার দ্বার। তাই সাইফউদ্দিন চান, এভাবে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে ফর্ম ধরে রাখতে।

সাইফউদ্দিন বলেন, ‘অবশ্যই। ভালোর তো কোনো শেষ নেই। আমি আমার বোলিং নিয়ে পুরোপুরি খুশি না। আরও ভালো করতে পারলে আরও ভালো লাগবে। যেহেতু আরও পাঁচ ছয়টা ম্যাচ আছে, সুপার লিগে সবমিলিয়ে। এজন্য চেষ্টা করবো একটা চার বা পাঁচ উইকেট নিতে। টুর্নামেন্ট শেষে যেন ২৫-৩০ উইকেট পাই ওই প্রস্তুতি নিচ্ছি। শেষ দুই তিনটা ম্যাচ কঠিন পেসারদের জন্য, প্রথম এক দুই ওভার পর আর খুব বেশি কিছু করার থাকে না পেসারদের। তারপরও কঠিন পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়াা জন্য যেটা করা দরকার সেটা নিয়ে ভাবছি।’

Related Articles

Back to top button