খেলাধুলাদৈনিক খবর

আমার বাবা-মা এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিল: মৃত্যুঞ্জয়

জনপ্রিয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দিয়ে আলোচনায় আসা পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী অবশেষে ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৫ জনের দলে তিনি ডাক পেয়েছেন। একাদশে থাকা নিশ্চিত না হলেও জাতীয় দলে ডাক পেয়ে মহাখুশি ২১ বছর বয়সী এই পেসার। সাংবাদিকদের কাছ থেকে খবরটা পেয়েই বাবাকে ফোন করে জানিয়েছেন। ছেলের এই অর্জনে তার বাবা-মাও দারুণ খুশি।

আজ সোমবার মিরপুর শেরেবাংলায় সাংবাদিকদের মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘আসলে আমি গতকাল প্রেস কনফারেন্সটা দেখছিলাম। পরে মিডিয়ার ভাইয়েরা যারা আছেন, তারা আমাকে জানায়। ভালো লাগছে যে সবাই এই দিনটার অপেক্ষায় ছিল, সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল। খুব ভালো লাগছে। সবার আগে আব্বুকেই ফোন দিয়েছি। পরিবারকে জানিয়েছি। বেশি সময় কথা হয়নি, যেহেতু সবাই ফোন দিচ্ছিল। কিন্তু তারা খুবই খুশি। কারণ দেখেন, সারাজীবন তারা এই একটা দিনের জন্য অপেক্ষা করছিল যে- কবে জাতীয় দলে ছেলে সুযোগ পাবে। তো এই অনুভূতিগুলো বলে প্রকাশ করা খুব মুশকিল। কিন্তু আমিও খুশি, আমার ফ্যামিলিও খুব খুশি।’

তবে এত তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে ডাক পাবেন- সেটা তিনি আশা করেননি, ‘খেলোয়াড় হিসেবে যখন থেকে খেলা শুরু করি, তখন থেকেই প্রস্তুত থাকি যে আমি দেশের হয়ে খেলব। আশা হয়তো এত আশাবাদী ছিলাম না। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা যেমন- আমি জাতীয় দলের সাথে ছিলাম, তাদের প্রোগ্রামে ছিলাম, ভিসা জমা দিয়েছিলাম। তাই বুঝে গিয়েছিলাম যে ২৪ জনের প্রাথমিক দলে আমি আছি। তবে এত তাড়াতাড়ি যে মূল দলে চলে আসব, এতটা আশা করিনি। যেটা কাল পেয়ে গেলাম।’

মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘আমি তো নতুন, তাই আমার ওপর কোনো চাপ নেই। আমি যেহেতু তরুণ, তাই এটা আমার সুযোগ বলা যায়। চাপ তো তার জন্য হবে যার খেলাধুলা (ক্যারিয়ার) শেষ হওয়ার পথে। আমার জন্য অনেক সুযোগ আছে। আমি যদি এই সফরে নিজেকে প্রমাণ করতে পারি, তাহলে সামনে বিশ্বকাপ আছে… আরও অনেক সুযোগ হবে। যেহেতু ১৫ জনের দলে আছি, তাই চেষ্টা থাকবে নিজের সেরাটা দিয়ে একাদশে সুযোগ করে নেওয়ার। আর ব্যাটিংয়ে যেহেতু আমি একটু ভালো আছি, তাই এই দিকটায় এগিয়ে থাকব। যদি দলের প্রয়োজন হয়, তাহলে অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতে পারব। এটা আমার জন্য খুব ভালো হবে।’

Related Articles

Back to top button