অবৈধ সম্পর্কের অন্তরালে রয়েছে জিনগত কারণ
অবৈধ সম্পর্ক, তথা পরকীয়া নিয়ে সমাজে যুগে যুগে বিতর্কের কোন শেষ নেই। বিতর্ক চলছে এবং চলতেই থাকবে। তবে সম্প্রতি কয়েকজন বিজ্ঞানী এই বিতর্ককে আবারও উসকে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন যে অবৈধ সম্পর্ক করার পেছনে ইন্ধন যোগায় আসলে আমাদের জিন।
হ্যাঁ, এমনই সাড়া জাগানো তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাঁদের বক্তব্য, এই মানসিক প্রবণতার পিছনে রয়েছে জিনগত কারণ।
গবেষক দলের প্রধান তথা কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ব্রেন্ড্যান জিয়েচ জানিয়েছেন, ‘আমাদের পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, বৈধ সম্পর্কের বাইরে যৌনমিলন ঘটানোর প্রবণতার পিছনে জিনের গঠন বৈচিত্র্যের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।’
একটি সমীক্ষায় গবেষকদল এই বিচিত্র ফলাফল লাভ করেন। সমীক্ষায় তাঁরা দেখতে পান, পুরুষদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ আর নারীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পরকীয়া সম্পর্কের ক্ষেত্রে কাজ করে জিনগত উপাদান।
সমীক্ষায় মোট ৭,৩০০ জন ফিনিশিয় যমজ এবং তাঁদের ভাইবোনদের নিয়ে কাজ করা হয়। এঁদের বয়স ১৮ থেকে ৪৯ বছর। এঁরা প্রত্যেকেই দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। তাদের সকলের জিনগত ইতিহাস ও পারিবারিক নথি সংগ্রহ করা হয় এবং গবেষণা হতে সংগৃহীত সমস্ত তথ্য জেনেটিক মডেলিং প্রক্রিয়ায় ফেলে জিনগত পার্থক্য পরিমাপ করা হয়।
এখন দেখা যাক, এই গবেষণা সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে অন্যান্য গবেষকরা কী মতামত দেন। তবে এখন পর্যন্ত গবেষকরা এই ঘটনার জন্য দায়ী জিনগুলোকে নির্দিষ্ট করতে পারেন নি।