জেনে নিই , আঁকাবাঁকা দাঁতের যত্ন নেবার সহজ উপায় ?
সুন্দর হাসির পূর্ব শর্ত হলো সুন্দর দাত। তাই আমরা সবাই চাই ঝকঝকে মুক্তার মতো দাত । কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় আঁকাবাঁকা, ফাঁকা ও উঁচু নিচু দাঁতের কারণে অনেকে নিজেকে কিছুটা লুকিয়ে রাখেন। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রাণ খুলে হাসতে পারেন না। অথচ অসচেতনতার কারণে দাঁতের এমন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
যেমন নির্দিষ্ট বয়সের আগে দুধদাঁত ফেলে দেয়া অথবা দীর্ঘদিন পর্যন্ত রেখে দেয়া, অতিরিক্ত কোনো দাঁত থেকে যাওয়া বা কোনো দাঁত কম থাকা, শিশুদের আঙুল চোষার অভ্যাস থাকা এবং নাকের পরিবর্তে মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য এ সমস্যায় ব্যক্তির নিজস্ব হাত থাকে না। যেমন দাঁতের আকার চোয়ালের তুলনায় বড় বা ছোট হওয়া, দাঁত ও তার চারপাশের মধ্যে ভারসাম্য না থাকা, মুখের মধ্যে কোনো টিউমার বা সিস্ট থাকা ইত্যাদি। কখনো কখনো বংশগত কারণেও দাঁত এলোমেলো হয়ে থাকে।
আঁকাবাঁকা দাঁতে ক্ষেত্রে বিশেষভাবে যত্নবান হতে হয়, অন্যথায় মাড়ি প্রদাহ, ডেন্টাল কেরিজ, দাঁতে অতিরিক্ত প্লাক জমাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে আঁকাবাঁকা দাঁতের যত্ন নেবেন—
১. নিয়মিত দাঁত মাজার পর একটি সাদা কাপড় দিয়ে আপনার আঁকাবাঁকা দাঁতগুলো ঘষে নিন। এতে দাঁতের বাড়তি ময়লা দূর হবে এবং বাঁকা দাঁত খুব একটা দৃষ্টিকটু দেখাবে না।
২. শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার দাঁতের ফাঁকে জমে দাঁত দ্রুত ক্ষয় করে এবং এর মসৃণতা নষ্ট করে। তাই এসব খাবার গ্রহণের পর সঙ্গে সঙ্গে ব্রাশ করুন। ভালোভাবে কুলি করে দাঁত পরিষ্কার করে নিন।
৩. ওপর-নিচে, ভেতর ও বাইরে সব দিকে পরিষ্কার করুন। বাঁকা দাঁতে ময়লা বেশি জমে। তাই একটু সময় নিয়ে ব্রাশ করুন।
৪. অনেক সময় একই স্থানে দুটি দাঁত গজায়, সেক্ষেত্রে ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী একটি দাঁত তুলে ফেলুন। অনেকের দুটি দাঁতের মাঝে ফাঁকা স্থান বা ভাঙা দাঁত থাকে। এক্ষেত্রেও যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের দ্বারস্থ হওয়া ভালো। শিশুদের ক্ষেত্রে দাঁত ওঠার শুরু থেকেই সতর্ক হোন, বোতলে দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন এবং ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করা শেখান।
৬. দুধদাঁতে প্রক্সিমাল ক্যারিজ হলে দ্রুত চিকিত্সা করান।
এই তো গেলো আঁকাবাঁকা দাতের যত্নের বিষয়, তবে বর্তমানে বিভিন্ন ডেন্টাল ক্লিনিকগুলোতে দাত সোজা করার জন্য বিভিন্ন আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। ব্রেস পরানো, ডেন্টাল রিফর্মেশন ইত্যাদি নানা পদ্ধতি এখানে সুলভে পাওয়া যায়। এগুলো সম্বন্ধে আরো জানতে আপনার নিকটস্থ ডেন্টাল ক্লিনিকে যোগাযোগ করতে পারেন।