ভাইরাল জ্বর হলে করণীয় – Viral Fever Tips
এখন প্রায় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। অনেকে আবার আক্রান্ত হচ্ছেন নিউমোনিয়ায়। অথচ সামান্য পরিচর্যা ও ওষুধ সেবনে জ্বর, সর্দি-কাশি ভালো হয়। আর জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে শিশু-কিশোররাই বেশি।
জ্বর একসপ্তাহ পার হলে আমরা সাধারণত ভাইরাল ফিভার ভাবি না। এটা সম্ভবত শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ বা অন্য কোন কারণে জ্বর হতে পারে। এছাড়া ভাইরাল জ্বরের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো শরীরের পেশীতে প্রচণ্ড ব্যথা, চোখ লাল হওয়া ও নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি। তাই এ ক্ষেত্রে বিলম্ব না করে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী যে কোন এন্টিবায়োটিক শুরু করা উচিত।
পাশাপাশি জ্বর ১০১ ডিগ্রি ফারেন হাইটের বেশি হলে প্যারাসিটামল দিনে ৩ বার খাওয়ার পর দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া সর্দি-কাশি হলে যে কোন এন্টি-হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সকালে ও রাতে দেয়া যেতে পারে। শরীর ব্যথা হলেও প্যারাসিটামল সেবন করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে ওষুধ সেবনের ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে জ্বর নিরাময় না হলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করে ওষুধ সেবন করানোর দরকার হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে ইউরিন রুটিন, রক্তের সিবিসি, রক্তের ভিডাল টেস্ট (Widal Test)অথবা রক্তের কালচার (Blood Culture)করা উচিত। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ইউরিনের প্রদাহ, টাইফয়েড অথবা ডেঙ্গুজ্বর হলে ধরা পড়বে। তখন অধিক সময় ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হবে। তবে মনে রাখবেন জ্বর বেশীদিন থাকলে এবং সাধারণ চিকিত্সায় ভালো না হলে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়।