ত্বকের যত্ন

কসমেটিকসে ক্ষতিকর কেমিক্যাল

রতিদিনের রুটিনে মেকআপ এর সরঞ্জাম এখন আর বিলাসিতা নয়, প্রয়োজনে পরিনত হয়েছে। ফাউন্ডেশন, কন্সিলার, আই শ্যাডো, লিপস্টিক ইত্যাদি এখন রোজকার ব্যাবহারের জিনিশ। এই ধারনা সামনে রেখে তাই কসমেটিকস বাজারে প্রতিদিনই আসছে নিত্যনতুন পণ্য।

কিন্তু যে সব কসমেটিকস বাজারে পাওয়া যায় তার সবগুলোই কি ভাল? অবশ্যই না। কিছু কিছু কসমেটিকসে আছে অনেক ক্ষতিকর কেমিক্যাল যা আপনার ত্বকের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তাই এসব পণ্য কেনার আগে ভাল করে উপাদানের লেবেল পড়ে নিতে ভুলবেন না।

Triethanolamine

এই কেমিক্যালটি যদি দীর্ঘদিন ধরে আপনার শরীরের ত্বকের সরাসরি সংস্পর্শে আসে তবে এটি আপনার শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই কেমিক্যালটি সাধারণত বর্ণহীন তরল রুপে থাকে। সাধারণত এই কেমিক্যাল ব্যাবহার করা হয় মাসকারা, সানস্ক্রিন লোশন, চুলের পণ্য ইত্যাদিতে।

এই কেমিক্যালের ফলে অনেক সময় চোখে ও ত্বকে চুলকানি ও র‍্যাশ হতে পারে। এই পণ্যের একাধিক নাম আছে। একে trialkylamine বা trialkanolamine বলা হয়। তাই উল্লেখিত প্রোডাক্টগুলো কেনার আগে ভাল করে লেবেল পড়ে নিবেন।

Formaldehyde

এই কেমিক্যালটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া হত্যা করতে ব্যাবহার করা হয়, কিন্তু এটি এখন কিছু মেকআপ একটি নিয়ামক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফর্মালডিহাইডের সংস্পর্শে আসলে মানব শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। এই কেমিক্যাল ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এই ক্ষতিকারক, বর্ণহীন গ্যাস কিছু চুলের স্টাইলিং জেল, আই ল্যাশের আঠা সহ নেইলপোলিশ ব্যবহার করা হয়। এটি বর্ণহীন গ্যাস হিসেবে থাকে। এই কেমিক্যাল methanal নামেও পরিচিত।

Dibutyl Phthalate

নেইল পোলিশে শুধু ফরমালডিহাইড পাওয়া যায় তা নয়, এতে Dibutyl Phthalate (DBP) পাওয়া যায়। নেইল পোলিশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি নেইল পোলিশকে জমে গিয়ে গুড়োগুড়ো হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এই কেমিক্যাল প্রজনন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। সেই সাথে প্রতিবন্ধী শিশুর জন্মের কারণ হতে পারে এটি। এই কেমিক্যাল আবার অনেক সময় পারফিউমেও ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।

Coal Tar Dyes

এই কেমিক্যালের নাম শুনে মনে হয়না এটি কোন বিউটি প্রোডাক্টসে ব্যাবহার করা হয়, তবে সাধারণত চুলের রঙ তৈরিতে এই কেমিক্যালের প্রচুর চাহিদা লক্ষ করা গেছে। গাড় রঙের চুলের ডাইয়ে এটি বেশি পরিমাণে ব্যাবহার করা হয় হাল্কা রঙের ডাইয়ের তুলনায়। ফরমালডিহাইডের মতই এতেও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান আছে। আর যেহেতু এটি সরাসরি মাথার ত্বকে ব্যাবহৃত হয় তাই ব্রেনের ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক।

এখানে কিছু মাত্র কেমিক্যাল নিয়ে আলচনাক অরা হল। কিন্তু বিভিন্ন কসমেটিকসে প্রায় ৮২,০০০ কেমিক্যাল নিয়ামক হিসেবে ব্যাবহার করা হয় যা ব্যাবহারে কোন না কোন বিপদের সম্ভাবনা আছে। তাই এখন সময় হয়েছে আমাদের এসব বিউটি প্রোডাক্টে কি মেশান হচ্ছে তা নিয়ে সচেতন হওয়ার।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Related Articles

Back to top button