কেন খাবেন গুণে ভরা কাঁকরোল?

সবজির নাম ‘কাঁকরোল’। সবুজ রঙের ফলে কাঁটা কাঁটা। দেখে মনে হয় ছোট কাঁঠাল। বৈজ্ঞানিক নাম Momordica cochinchinensis

ছোট মাছ দিয়ে পোড়া পোড়া করে রেঁধে খেতে পারেন, বড় মাছ দিয়ে ঝোল রেঁধে খেতে পারেন, খেতে পারেন সিদ্ধ করে ভর্তা করে। কাঁকরোলের নাম শুনেই নাক কুঁচকে যেতে পারে অনেকের। কারণ অনেকেই এটাকে পছন্দ করেন না। কিন্তু আপনি কি জানেন এটাকে বলা হয় ‘স্বর্গীয় ফল’। কেন? দাঁড়ান জানাচ্ছি।

কাঁকরোল ক্যান্সার রোধক:

কাঁকরোলে লাইকোপিন নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে টমেটো থেকে শতকরা ৭০ ভাগ বেশি। লাইকোপিন প্রস্টেট ক্যান্সার রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গবেষণায় পাওয়া গেছে যাদের শরীরে

কাঁকরোল হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়:

গবেষণায় পাওয়া গেছে যাদের শরীরে লাইকোপিনেরে মাত্রা বেশি, তাদের চেয়ে যাদের শরীরে এর মাত্রা কম তাদের শতকরা ৫০ ভাগ বেশি হার্ট এ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে। তাহলে কাঁকরোল আপনার হার্টেরও উপকার করবে নিশ্চয়ই।

মেদ কমাতে কাঁকরোল:

কমলার চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে কাঁকরোলে। ভিটামিন সি শরীরের অতিরিক্ত মেদ পুড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে।আর রক্তে ভিটামিন সি’র পরিমাণ কম থাকলে ফ্যাট বার্নিং কম হয়।ফলে ওজন কমে না।যাদের রক্তে প্রয়োজনীয় পরিমাণে ভিটামিন সি আছে,তাদের ফ্যাট বার্নিং হয় শতকরা ২৫ ভাগ।ফলে তাদের মোটা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

ত্বকের যত্নে কাঁকরোল:

কাঁকরোলে আছে ভুট্টার চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ বেশি জিযানথেন এবং গাজরের চেয়ে শতকরা ২০ ভাগ বেশি বিটা ক্যারোটিন, আছে ভিটামিন ই। এগুলো আপনার ত্বককে দূষণ থেকে রক্ষা করে। আপনার ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলতে দেয় না। কোন কোন দেশে কাঁকরোলের জুস পাওয়া যায়। কাঁকরোলের জুস ত্বকের জন্য উপকারি।

কলোস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে কাঁকরোল:

কাঁকরোলে আছে লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন। ফলে কলোস্টেরল লেভেল থাকে নিয়ন্ত্রণে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে কাঁকরোলে বিদ্যমান উপাদান।

জানলেন তো কাঁকরোলের কত গুণ! তাহলে এবার থেকে খাবার টেবিলে রাখুন কাঁকরোলের তৈরি খাবার। আর স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেয়ে সুস্থ থাকুন।

Exit mobile version