রহমতের বৃষ্টির পর সৌদির মরুভূমি ছেয়ে গেছে সুগন্ধি ফুলে, দেখতে পর্যটকের ঢল

এবার সৌদি-ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি রাফা অঞ্চলে ওই সুগন্ধি ফুলগুলো ফুটেছে। দিগন্ত বিস্তৃত এই ফুলের সমাহার দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন সৌদির লোকজন। ফুলটি সৌদি আরবে ‘বুনো ল্যাভেন্ডার’ নামে পরিচিত। দেশটির মক্কা নগরী ও তার আশপাশের পাহাড়গুলোতে ভারী বৃষ্টিপাত এবং গত ডিসেম্বরের আকস্মিক বন্যার পর সবুজ হয়ে ওঠার খবর জানা গিয়েছিল জানুয়ারিতেই।

অন্য বছরের তুলনায় এবারের শীতে বৃষ্টিও বেশি হয়েছে সেখানে। এর প্রভাবে সৌদির উত্তরাঞ্চলের বিশাল-বিস্তৃত মরুভূমি ছেয়ে গেছে বেগুনি রঙের সুগন্ধি ফুলে। গত শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদমাধ্যম আর টি ই‘র এক প্রতিবেদনে জানায়, সৌদির রাফা অঞ্চলে ঘটেছে এই ঘটনা। এই অঞ্চলটি সৌদি-ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি।

এদিকে দিগন্ত বিস্তৃত এই ফুলের সমাহার দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন লোকজন। সুগন্ধি এই ফুলটির সৌদি আরবে “বুনো ল্যাভেন্ডার” নামে পরিচিত। বার্তা সংস্থা এএফপির সঙ্গে ওই অঞ্চলে ঘুরতে আসা ৫০ বছর বয়সি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুহাম্মাদ আল মুতাইরির কথা হয়েছে। তিনি ছয় ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে রাফা এসছেন।

তিনি বলেন, সৌদি আরবে এমন দৃশ্য দেখতে পাব, এমনটা আমরা আশাও করিনি। এই দৃশ্য আর ফুলের সুগন্ধ আত্মাকে তরতাজা করে তোলে। গত শীতে ব্যাপক বৃষ্টিতে সৌদির পশ্চিমাঞ্চলের অনেক এলাকায় ব্যাপক বন্যাও হয়েছে। কিন্তু উত্তরাঞ্চলে এই বৃষ্টি এনে দিয়েছে প্রাণের পরশ। রাজধানী রিয়াদ থেকে রাফার মরুভূমি অঞ্চলের দূরত্ব ৭৭০ কিলোমিটার।

বন্ধু বান্ধবসহ নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে এই পরিমাণ পথ পাড়ি দিয়ে উপস্থিত হয়েছেন সৌদি ব্যবসায়ী নাসের আল কারানি। পিকনিকের উদ্দেশে গাড়িতে তাঁবু, খাবার ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জামও সঙ্গে এনেছেন তিনি। ফুলগাছ ঘেরা একটি ফাঁকা জায়গায় স্টোভে চায়ের কেটলি বসিয়ে চা বানান তিনি। চা খেতে খেতে বলেন, এখানে আসার পর থেকে নিজেকে খুব নির্ভার লাগছে।

এদিকে দিগন্তজুড়ে ফুলের এই সমাহার দেখতে এমনকি কাতার থেকেও গাড়ি চালিয়ে ছুটে এসেছেন অনেকে। তেমনই একজন আবদুল রহগমান আল মারি। তিনি বলেন, এখানে আসতে আমার ১২ ঘণ্টা গাড়ি ড্রাইভ করতে হয়েছে। কিন্তু আসার পর থেকে কোনো ক্লান্তি বোধ হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, যেন স্বর্গে এসেছি।

Exit mobile version