প্রিজন ভ্যানের মধ্য থেকে অনুসারীদের যে বার্তা দিলেন মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের একজন বিশিষ্ট নেতা মামুনুল হক তার এক কথিত স্ত্রীর মামলায় এবং আরো বেশ কয়েকটি মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। এই মামলায় দু’জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শি’শু নি’/র্যা”তন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারিক কার্যক্রমের সময় একজন বিচারক নবম দফায় এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সাক্ষ্য দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকে মামুনুল হক তার অনুসারীদের বলেন, ‘আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’সত্য কখনো চাপা থাকে না, সত্যের জয় একদিন হবেই। আমার মুক্তির দরকার নাই, সত্যের মুক্তি দরকার। সত্যের মুক্তির জন্য তোমরা দোয়া করো। তোমরা হিজরত করবে আল্লাহর পথে। ইনশাআল্লাহ সত্যের জয় হবেই হবে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রাকিব জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। পরে দুপুর ১টায় দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়। সোনারগাঁও থানার তৎকালীন এএসআই এজাজুল হক এবং মামলার বাদী বাড়িওয়ালা মোশারফ হোসেন সাক্ষী দেন। খারাপ কাজের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দেন সাক্ষীরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি অনুযায়ী মামুনুল হক নারীর সাথে খারাপ কাজ করেছেন।

এদিকে মামুনুল হকের আইনজীবী নয়ন বলেন, আমি সাক্ষীদের জেরা করেছি। কোনো সাক্ষীর বক্তব্যের সঙ্গে কোনো মিল নেই। ন্যায় বিচার হলে মামুনুল হক খালাস পাবেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য মামুনুল হককে কারা”গার থেকে সকাল ৯টায় আদালতে আনা হয়। এছাড়া আদালত চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাকে কা”রাগারে পাঠানো হয়।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল, হেফাজত ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় অবস্থিত রয়েল রিসোর্টে এক মহিলাসহ গ্রেফতার করা হয়। মামুনুল হকের যারা অনুসারী সেই সময় তারা রিসোর্টে হঠাৎ করে হা”/মলা চালায় এবং ভা”/ঙচুর করেন। এরপর ওই ছি”/নিয়ে নেওয়া কথিতও স্ত্রীকে পরবর্তীতে আটক করে পুলিশ। সেই কথিত স্ত্রী মামুনুল হকের বিরুদ্ধে একটি নারীর সাথে খারাপ কাজের অভিযোগে এনে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

Exit mobile version