সিন্ডিকেট ভাংগায় হাত লাগালে ডিমের হালি হবে ৫০০ টাকা, ব্রয়লারের কেজি ১০০০ টাকা: সুলতান

বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে এসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে পরিমান মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেটার জন্য স্বল্প আয়ের মানুষসহ অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার ব্যাপক সংকটে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে সেটি হলো রাতারাতি ব্রয়লার ও অন্যান্য মুরগীর দাম বৃদ্ধি এবং যেটা প্রায় শতভাগ। এর পেছনে দায়ী কারা সে বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন সুলতান মির্জা। তার পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো-

মুরগী ব্যবসার সিন্ডিকেটের সুচনা ২০০৩ সালে তৎকালীন খালেদা জিয়ার অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কোয়ালিটি ফিড দিয়েই হয়, পোল্টি সেক্টরে কোয়ালিটি ফিড কে বলা হয় রাতারাতি আংগুল ফুলে বটগাছ হওয়া কোম্পানী, বিএনপি জামাতের আমলে কোয়ালিটি ফিড কে বলা হতো বাংলাদেশ মুরগী ব্যবসা সিন্ডিকেট কমিটির সভাপতি, বর্তমান আওয়ামীলীগ আমলে যার হাতবদল নেতৃত্ত্ব চলছে প্যারাগনের নেতৃত্ত্বে। তারই ধারাবাহিকতায় এর পরে রাতারাতি আংগুল ফুলে বট গাছ হয়েছে প্যারাগন, কাজী ফার্মস সহ আরো একাধিক প্রতিষ্ঠান৷

সিন্ডিকেটবাজী কি করেছে তারা সেই গল্প আমার মত আদার ব্যপারীর বর্ননা করা অসম্ভব কাজ। তবে এইটুকু ধারনা দেই, কারো স্বক্ষমতা থাকলে মিলিয়ে নিবেন, সারাদেশের বিভাগ অনুসারে আঞ্চলিক ফিড মিল, বাচ্চা উৎপাদন হ্যাচারী, লক্ষ লক্ষ লেয়ার ব্রয়লার কক মুরগী পালনের শেড স্থাপন সহ আরো নানান কার্যক্রম।

উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলো এক যুগের ব্যবধানে সারাদেশে লক্ষ লক্ষ প্রান্তিক খামারীকে পোল্টি ব্যবসায় নিরুৎসাহী করে নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে পুরো পোল্ট্রি খাতের নিয়ন্ত্রন।

এমন অবস্থায় আসলেই কি করনীয়, সরকার কি করতে পারবে সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারন এই সিন্ডিকেট ভেংগে ফেলা একদিকে যেমন সম্ভব না, অপরদিকে সিন্ডিকেটের বিস্তৃতি এমন পর্যায়ে আছে, কালকে যদি সিন্ডিকেট ভাংগায় হাত লাগানো হয়, তাহলে এই দেশে ডিমের হালি হবে ৫০০ টাকা, ব্রয়লারের কেজি হবে ১০০০ টাকা। কারন বিকল্প ভাবে প্রান্তিক খামারিরা যে ডিম ও মুরগীর যোগান দিবে তার কোন উপায় নেই।

আর তাই ডিম ও মুরগী ইস্যুতে ভোক্তাদের তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।

প্রসংগত, ব্রয়লারের দাম বৃদ্ধির সাথে মোকাবিলা করার জন্য, মানুষেরা তাদের ক্রয় হ্রাস করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে, তবে সেখানে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সরকার এবং অন্যান্য সংস্থাগুলিও ব্রয়লারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে, উৎপাদন বাড়াতে এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রনের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে।

Exit mobile version