ছাত্রীকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে ফরজ কাজ সারলেন শিক্ষক

ছাত্রীকে বিয়ে করে সম্প্রতি আলোচনায় চালাপাথি নামের এক শিক্ষক। জানা গেছে নানা ধরনের প্রলভন দেখিয়ে ছাত্রীকে নিয়ে যায় মন্দিরে। এরপর তাকে কৌশলে বিয়ে করে নেয় ওই শিক্ষক। এরপর বেধেঁ যায় লঙ্কাকান্ড।

অভিযুক্ত শিক্ষক ইতিমধ্যে বিবাহিত। পরে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয় এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলার গঙ্গাভারম মণ্ডল এলাকায়। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-এর বরাত দিয়ে রোববার (২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

খবরে বলা হয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের এক শিক্ষককে নাবালক ছাত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। চিত্তুর জেলার গঙ্গাভরম মণ্ডল এলাকায় একজন নাবালক ছাত্রকে বিয়ের জন্য প্রতারণা করার অভিযোগে একজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে।

এনডিটিভি বলছে, গ্রেফতারকৃত শিক্ষকের নাম চালাপাঠি। ৩৩ বছর বয়সী অভিযুক্ত শিক্ষক একটি বেসরকারি কলেজে চাকরি করতেন। একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক চালাপাথির বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের মতে, অভিযুক্ত চালাপতি ইতিমধ্যে বিবাহিত এবং একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন। আর তার বিরুদ্ধে তার নিজের কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

17 বছর বয়সী ছাত্রের পরিবার গঙ্গাভারম থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ফাইনাল পরীক্ষার দিন শিক্ষক নাবালক ছাত্রকে তিরুপতি মন্দিরে বেড়াতে নিয়ে যান। মেয়েটি প্রথমে রাজি হয়নি। তবে শিক্ষক বলেন, তাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা যায়।

তারপর বললেন মন্দির থেকে ঘুরে সবার বাড়িতে যাবেন। কিন্তু শিক্ষক জোর করে মন্দিরে গিয়ে ছাত্রীকে বিয়ে করেন। মেয়েটি বাড়িতে এসে তার বাবা-মাকে সব খুলে বললে ঘটনাটি জানা যায়।

এনডিটিভি জানায়, গত বুধবার মেয়েটির ফাইনাল পরীক্ষা ছিল এবং পরীক্ষা শেষে অভিযুক্ত চালাপতি মিথ্যা কথা বলে মেয়েটিকে তিরুপতি নিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, “তাদের দুজনেরই সেখানে একটি মন্দিরে বিয়ে হয়। পরে মেয়েটি চালপাঠির আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করে। তারপর মেয়েটি তার বাবা-মাকে পুরো ঘটনা জানায়। পরে মেয়েটি তার বাবা-মাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে গঙ্গাভারম থানায় পৌঁছায় এবং একটি এফআইআর দায়ের করেছে। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে।

বিবাহিত হওয়া সত্যেও অনেকদিন ধরে ছাত্রীকে বিবাহ করার সপ্ন দেখতেন ওই শিক্ষক। অবশেষে তার উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করতে এমন পন্থা অবলম্ভন করাটাকে অনৈতিক বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এই বিয়ে কোন ভাবে মেনে নিবে না ছাত্রীর পরিবার।

Exit mobile version