আদালত থেকে দূ:সংবাদ পেলেন তারেক ও জোবায়দা, আইনজীবী নিয়োগেও জটিলতা

শেষ পর্যন্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের চলমান মামলায় নতুন করে অভিযোগ গঠিত হয়েছে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের জন্য এই অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। সেই সাথে তারা বিদেশে অবস্থান করে দেশে আইনজীবী নিয়োগের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ আদেশ দেন। ফলে দেশের কাছে আত্মসমর্পণ না করে তারা তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে না।

এর আগে পলাতক তারেক-জোবাইদার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের আবেদনের ওপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিদের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করা হয়।

এ মামলায় ২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিকানা, সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা করে দুদক।

মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে ২০০৮ সালে এই তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান প্রথমবারের মতো বিদেশ থেকে আইনি লড়াই চালানোর অনুমতি চেয়ে ব্যর্থ হলেন। তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধেও প্রথম কোন মামলার চার্জ গঠন হতে যাচ্ছে।

এর আগে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফ”তারি পরো”য়ানা জারি করে আদালত। সেই মামলায় তারা বিদেশে অবস্থান করায় তাদেরকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এদিকে নতুন অভিযোগ গঠন করায় আইনি বিষয়ে ফের তারা জটিলতায় পড়লেন।

Exit mobile version