শিশুদের শ্বাসনালী খুব ক্ষুদ্র। ২ মিমি থেকে ৫ মিমি ব্যাসবিশিষ্ট। চারদিকে মাংসপেশি পরিবেষ্টিত। এ ক্ষুদ্র শ্বাসনালীর ভেতর দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় খুব সহজেই বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারে। যদি কখনও অ্যালার্জিক বা উত্তেজক কোন জিনিস শরীরে প্রবেশ করে তখন শ্বাসনালীর মাংসপেশিগুলো সংকুচিত হয়। ফলে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায়। তাছাড়া উত্তেজক জিনিসের প্রভাবে শ্বাসনালীর গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় আঠালো মিউকাস জাতীয় কফ এবং ইনফেকশনের কারণে শ্বাসনালীর ভেতরের মিউকাস আবরণী ফুলে ওঠে, ফলে শ্বাস নিতে এবং ফেলতে কষ্ট হয়।
টিভির সামনে বসে থাকলে শিশুদের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট হওয়ার ঝুঁকি
প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভির সামনে বসে থাকলে শিশুদের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্যারিসে প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে। ব্রিটিশ চিকিৎসকেরা তিন হাজারের বেশি শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। গবেষকেরা অতিরিক্ত টিভি দেখে এমন সাড়ে তিন বছর থেকে সাড়ে ১১ বছরের শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি হতে দেখেছেন।
টিভি দেখার সময় সীমিত করে ফেলাই বোধ হয় অভিভাবকদের বুদ্ধিমানের কাজ হবে
তারা দেখেছেন, অতিরিক্ত টিভি দেখা শিশু, শৈশবে যাদের শ্বাসকষ্ট ছিল না, প্রায় আট বছর পর তাদের ৬ শতাংশের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আবার শিশুদের অভিভাবকেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, শ্বাসকষ্ট আছে এমন শিশুরা প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কিংবা তার বেশি সময় টিভি দেখলে তাদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। যেসব শিশু দুই ঘণ্টার কম সময় টিভি দেখে, তাদের তুলনায় দুই ঘণ্টার বেশি টিভি দেখে, এমন শিশুদের সাড়ে ১১ বছরের মধ্যে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও প্রায় দ্বিগুণ। তাই শিশুদের টিভি দেখার সময় সীমিত করে ফেলাই বোধ হয় অভিভাবকদের বুদ্ধিমানের কাজ হবে।