দৈনিক খবরধর্ম

নায়িকা রোজিনার পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দশ গম্বুজ মসজিদ, মুসল্লিদের উচ্ছাস

এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা রোজিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়া গ্রামে। শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লার পাড়ায় প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে রোজিনা নির্মাণ করেছেন একটি দশ গম্বুজ বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। টানা দুই বছর নির্মাণ কাজ শেষে ২০২২ সালের ১ এপ্রিল জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে এ মসজিদের উদ্বোধন করা হয়। প্রতিদিন এখানে ৫ ওয়াক্ত নামাজ হয় ও শিশুদের কোরআন শিক্ষা দেয়া হয়।

জানা গেছে, রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভবানীপুরে চিত্রনায়িকা রোজিনার বাবার বাড়ি। আর গোয়ালন্দে তার নানার বাড়ি। বাবার বাড়ি রাজবাড়ীতে হলেও তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে গোয়ালন্দে নানা বাড়িতে। বাড়ির বড় সন্তান হিসেবে ওই জমিটি রোজিনার মায়ের নামে দেন তার নানা। মায়ের সূত্র ধরে সেই জমির মালিক হন রোজিনা। রোজিনার ইচ্ছা ছিল তার মায়ের দেয়া জমিতে তিনি একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করবেন। মসজিদটির নাম দিয়েছেন ‘দশ গম্বুজ মা খাদিজা জামে মসজিদ’।

দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড থেকে ১ কিলোমিটার পাকা সড়ক ধরে সামনে এগুলেই চোখে পড়ে দশ গম্বুজ বিশিষ্ট মা খাদিজা জামে মসজিদ। মসজিদের সামনে রয়েছে দুটি বড় মিনার। রয়েছে ছোটবড় ১০টি গম্বুজ। মসজিদটির নকশা করা হয়েছে তুরস্কের বিভিন্ন মসজিদের আদলে। মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে দামি টাইলস, মূল্যবান পাথর ও নানা কারুকার্য।

অসাধারণ নির্মাণশৈলী, মসজিদের রং, লাইটিং ও এর অবস্থান দূর থেকে কাছে টানে দর্শনার্থী ও মুসল্লিদের। নির্মাণের পর থেকে প্রতিদিন এই মসজিদ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন দর্শনার্থীরা। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত মসজিদের ভেতরে ও বাহিরে জ্বলে দৃষ্টিনন্দন আলো।

এ সময় এক দর্শনার্থী বলেন, গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে নায়িকা রোজিনা তার নিজ অর্থায়নে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করেছেন বলে শুনেছিলাম। মানুষের মুখে শুনেছিলাম মসজিদটি অনেক সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন। আমার বাসা থেকে মসজিদটি তিন কিলোমিটার দূরে। আজ শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করলাম ও মসজিদটি ঘুরে ঘুরে দেখলাম। অনেক ভালো লাগলো।

এদিকে মোক্তার মাহমুদ নামে স্থানীয় এক মুসল্লি বলেন, চিত্রনায়িকা রোজিনা আমাদের এলাকায় এই মসজিদটি করে দেয়ায় আমরা গর্ববোধ করি। আগে আমাদের নামাজ পড়তে অনেক দূরে যেতে হতো। অনেক সময় দেখা যেত দূরের মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে নামাজ শেষ হয়ে যেত, নামাজ পেতাম না। এখন আমাদের এলাকায় মসজিদ হওয়ায় আমরা খুব খুশি।

Related Articles

Back to top button