ভালোবাসা ও সম্পর্ক

সম্পর্কে মধুরতা বজায় রাখতে দুজনের মাঝেই থাকতে হবে যে গুণগুলো!

আজকাল সম্পর্ক এতো বেশি ঠুনকো হয়ে গিয়েছে যে, অনেকেই মনে করেন সামান্য ভুল বোঝাবুঝি কিংবা সামান্য মনোমালিন্যে সম্পর্কছেদ করে দেয়াই ভালো। কিন্তু এই কাজটি কি আসলেই ঠিক? মোটেই নয়। সম্পর্ক প্রেমেরই হোক বা দাম্পত্যেরই হোক না কেন তা অবশ্যই ঠুনকো নয় এবং খুব সহজেই ভেঙে ফেলা একেবারেই উচিৎ নয়।

সম্পর্ক থাকলে কিছুটা মনোমালিন্য হতেই পারে কিন্তু তাই বলে সম্পর্ক ভেঙে ফেলাই সমাধান নয়। বরং মনোমালিন্য যাতে না হয় এবং সম্পর্কে মধুরতা বজায় থাকে সেই কাজ করা উচিৎ। আবার সম্পর্ক যেমন একজনকে দিয়ে তৈরি হয় না তেমনই একজনের চেষ্টাতেও সম্পর্কে মধুরতা আসবে না। চেষ্টা করতে হবে দুপক্ষকেই।

সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস

বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরেই সম্পর্কে তৈরি হয় টানাপোড়ন। সম্পর্কের মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। আপনার সঙ্গীর প্রতি আপনার অটুট বিশ্বাস আপানাদের সম্পর্কে আনবে মধুরতা। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস থাকলে সম্পর্কে সন্দেহ নামক বিষ ঢোকার সুযোগ পায় না। তাই সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস রাখুন। এতে সম্পর্কে থাকবে মধুরতা ও ভালোবাসা।

কথা শোনার অভ্যাস

মানুষ দুঃখ, সুখ, আবেগ সব কিছুই নিজের ভালোবাসার মানুষটির কাছে শেয়ার করে থাকেন। এটি মানুষের স্বাভাবিক একটি কাজ। তিনি আশ্রয় খোঁজেন। কিন্তু সেই ভালোবাসার মানুষটির মধ্যে যদি কথা না শোনার মতো অভ্যাস থাকে তাহলে সম্পর্কে মধুরতা একেবারেই থাকে না। একে অপরের কথা শুনে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। তবেই সম্পর্কে আসবে মধুরতা।

সঙ্গীর মানসিকতা বুঝতে পারা

এমন অনেক সম্পর্কে দেখা যায় যারা একে অপরকে বোঝেন না কিন্তু সামাজিকতার ভয়ে তিক্ত সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসতেও পারেন না। সঙ্গীর মানসিকতা বোঝা একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য অনেক বেশি জরুরী। আপনার সঙ্গী আপনার সাথে কিছু নিয়ে রাগারাগি করলেন কিংবা মন খারাপ করলেন এখন্ আপনি যদি তাকে না বুঝে তার মানসিকতা না বুঝে উল্টো আপনিও একই কাজ করেন তবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তাই সঙ্গীর সকল কর্মকাণ্ডের সাথে তার মানসিকতার মিল খুঁজুন। তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন।

কোনো কিছু চাপিয়ে না দেয়া

সম্পর্কে মধুরতা বজায় রাখার অন্যতম একটি ভালো গুণ যা উভয়ের মধ্যেই থাকা দরকার তা হলো কোনো কিছু সঙ্গীর ওপর চাপিয়ে না দেয়া। সিদ্ধান্ত দুপক্ষের সম্মতিতে নেয়া উচিৎ। তা সে যতো ছোট কোন সিদ্ধান্তই হোক না কেন। নিজে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে তা সঙ্গী মানুক বা নাই মানুক ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেই হয় না। যদি আপনি আসলেই সঠিক থাকেন তবে তা প্রথমে সঙ্গীর কাছে বলুন এবং তার সাথে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিন। কোনো কিছু চাপিয়ে দেবেন না।

সঙ্গীর খুঁত ধরে বড় করে না দেখা

আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে ভালোবাসেন তবে তার সকল দোষ ত্রুটি মিলিয়েই তাকে ভালবাসতে হবে। কোনো মানুষের পক্ষেই পারফেক্ট হওয়া সম্ভব নয়। আপনার সঙ্গীর মধ্যেও খুঁত থাকতে পারে। কিন্তু আপনি সেই খুঁত নিয়ে কি করবেন তার ওপরেই কিছু সম্পর্ক নির্ভর করে অনেকাংশে। আপনার কাছে সঙ্গীর খুঁত ধরা পড়লে তাকে বলবেন, তাকে বোঝাবেন। তা বড় করে নিয়ে ধরে বসে থাকাটা একেবারেই উচিৎ নয়।

Related Articles

Back to top button