প্রস্রাবে যদি রক্ত যায় কি করবেন

বহু কারণে প্রস্রাবে রক্ত যেতে পারে। যে কারণেই যাক, অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। যদিও এমন নয় যে রক্ত গেলেই মারাত্মক রোগ হয়েছে। লিখেছেন জাতীয় কিডনি ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট, ঢাকার পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. এ কে এম জামানুল ইসলাম ভূঁইয়া

প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া ভালো লক্ষণ নয়। তবে সব রোগী বুঝতে পারেন না যে রক্ত যাচ্ছে। অনেক সময় প্রস্রাব পরীক্ষায় রক্তের উপস্থিতি ধরা পড়ে। প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া সাধারণ ব্যাপার নয়, এটা রোগী ও ডাক্তার উভয়ের জন্যই উদ্বেগের কারণ। তাই রক্ত গেলে তা হালকাভাবে না দেখে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে।

রক্ত গেলে প্রস্রাব লালচে বা বাদামি হতে পারে। কখনো কখনো প্রস্রাবে লাল রক্তের ফোঁটার মতোও দেখা যেতে পারে। কখনো কখনো রক্ত এত কম পরিমাণে যায় যে, খালি চোখে দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে শুধু ল্যাবরেটরি টেস্টেই রক্তের উপস্থিতি বোঝা যায়। একে বলা হয় আণুবীক্ষণিক রক্তপাত।

প্রশ্ন হলো, প্রস্রাবে রক্ত আসে কোথা থেকে। মূত্রতন্ত্রের যেকোনো স্থান থেকেই রক্ত আসতে পারে। যেমন- কিডনি, মূত্রথলি, মূত্রনালি।

প্রস্রাবে রক্তক্ষরণ অনেক কারণে হতে পারে। এর মধ্যে আছে-

আমাদের দেশে মূত্রতন্ত্রের আঘাত, প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন, ক্যান্সার এবং পাথরই সাধারণত প্রস্রাবে রক্তক্ষরণের জন্য দায়ী। বয়স্ক লোকদের ক্ষেত্রে প্রস্রাবে রক্তপাত মারাত্মক রোগ হিসেবে বিবেচনা করে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে। আবার অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণে কখনো কখনো অতি অল্পমাত্রায় প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। অ্যাসপিরিনের মতো প্রচলিত ওষুধও এ ধরনের সমস্যার সূচনা করতে পারে, কিন্তু প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া সাধারণত মারাত্মক অসুখই নির্দেশ করে।

উপসর্গ এবং লক্ষণ

বেশি মাত্রায় রক্ত যাওয়ার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে প্রস্রাবের রং গোলাপি, লাল বা কালো হওয়া। লোহিত রক্ত কণিকার উপস্থিতির কারণে এমন হয়ে থাকে। অনেক সময় প্রস্রাবে রক্তপাতের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। আবার কোনো ধরনের উপসর্গ বা লক্ষণ ছাড়াও প্রস্রাবে রক্ত যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত শুধু অণুুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা যায়। তাই রক্ত না দেখা গেলেও যদি বারবার প্রস্রাব

ইনফেকশনের ইতিহাস থাকে, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, কোমরে ব্যথা হয়, জ্বর থাকে; তবে প্রস্রাব পরীক্ষা করে তাতে রক্ত যাচ্ছে কি না দেখা দরকার।

কিভাবে প্রস্রাবে রক্ত আসে

দুটি কিডনি, ইউরেটার বা কিডনি নালি, প্রস্রাবের থলি, প্রস্টেট এবং প্রস্রাবের নালির সমন্বয়ে মূত্রতন্ত্র গঠিত। কিডনি শরীরের বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়। এই প্রস্রাব কিডনি থেকে ইউরেটারের মাধ্যমে প্রস্রাবের থলিতে আসে। প্রস্রাবের নালির মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এখানেই জমা থাকে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়ার ক্ষেত্রে

কিডনি এবং মূত্রতন্ত্রের যেকোনো অংশ থেকে রক্তকণিকা প্রস্রাবে প্রবেশ করতে পারে। স্বাভাবিকভাবে প্রস্রাবে রক্ত প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই।

চিকিৎসা

রক্ত না গেলেও ডাক্তারের কাছে যেতে হবে

ডাক্তারকে জানাতে হবে

Exit mobile version