ভালোবাসা ও সম্পর্ক

মস্তিষ্কের ওপরেই নির্ভর করে পুরোটা ভালোবাসা

ভালোবাসার মানে কী? আমাদের ওপর ভালোবাসার প্রভাবটাই বা কেমন? অনেক কবি সাহিত্যিকেরা ঘুম কেড়ে নেওয়া এই প্রশ্নের সমাধান পাওয়া গেছে, অন্তত গবেষকদের দাবি তাই।ভালোবাসা কী করে মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং আবেগের সূত্রপাত ঘটে তা বের করা গেছে একটি পরীক্ষা থেকে।

যেসব নারীপুরুষ দাবী করেন তারা প্রেমে পড়েছেন, তাদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়। এর পাশাপাশি যেসব মানুষ কখনোই প্রেমে পড়েননি বা অতীত প্রেম ভুলে গেছেন তাদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়।গবেষকেরা বলেন, এ থেকে তারা এই প্রথম দেখতে পান ভালোবাসা মস্তিষ্কে কী কী পরিবর্তন নিয়ে আসে।

fMRI মেশিন ব্যবহার করে এই স্ক্যান করা হয়, যা কিনা রক্তপ্রবাহের পরিবর্তন থেকে ব্রেইন অ্যাক্টিভিটি পরিমাপ করতে পারে। দেখা যায় ভালোবাসা মস্তিষ্কের প্রায় এক ডজন এলাকায় সক্রিয়তা সৃষ্টি করে।

আর কডেট নিউক্লিয়াস নামের একটা জায়গা সক্রিয় হয় প্রেমের সমাপ্তি হলে।এই গবেষণায় যারা কাউকে ভালোবাসেন তাদেরকে সেই প্রেমিক বা প্রেমিকার ছবি দেখানো হয় এবং সে সময়ে তাদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়।

এই গবেষণায় অংশ নেওয়া ১০০ নরনারীর একাংশ তীব্রভাবে কাউকে ভালোবাসতেন, কেউ কখনো প্রেমেম পড়েননি এবং কেউ কেউ সম্প্রতি সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। এই স্ক্যানের সময়ে তাদের চিন্তাশূন্য থাকতে বলা হয়।

গবেষণায় দেখা যায় ভালোবাসার সাথে জড়িত অংশগুলোর সাথে পুরস্কৃত করা, প্রেরণা, আবেগ এবং সামাজিকতার মিল রয়েছে।

ডরসাল অ্যান্টেরিয়র সিঙ্গুলেট কর্টেক্স, ইনসুলা, কডেট, অ্যামিগডালা এবং নিউক্লিয়াস অ্যাকাম্বেন্স অংশে ভালোবাসার প্রভাব সবচাইতে বেশি পরিলক্ষিত হয়।

এর পাশাপাশি টেম্পোরো-প্যারাইটাল জাংশন, পোস্টেরিয়র সিঙ্গুলেট কর্টেক্স, মিডিয়াল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স, ইনফেরিয়র প্যারাইটাল, প্রিকিউনিয়াস এবং টেম্পোরাল লোবেও এর প্রভাব দেখা যায়।

Related Articles

Back to top button