জেনে রাখুন

ব্রণ এর ভুল ধারণা

সুন্দর মুখে ব্রণ যেন এক বিষ ফোঁড়া। উঠতি বয়সের বাড়তি বিড়ম্বনা। ব্রণ নিয়ে আছে হাজারো ভুল ধারনা। আসুন এই ভুল ধারনা গুলোকে জানি।
অনেকেই মনে করেন ভাজা পোড়া বেশী খেলে ব্রণ বাড়ে। কেউ বলেন তৈলাক্ত খাবার খেলে ব্রণ বাড়ে। গরুর মাংস খাসির, মাংস চিংড়ি, খাওয়া বাদ

ব্রণ এর ভুল ধারণা

দেন কেউ কেউ। তবে মূল কথা হল ব্রণের সাথে এসব খাবারের কোন সম্পর্ক নেই। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে ভাজা-পোড়া বা কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার বাদ দেওয়া যেতে পারে।

তবে ব্রণ নিয়ন্ত্রণে এর কোন ভূমিকা নেই। সাধারণ নিয়ম হিসেবেই ত্বকের যে কোন সুস্থতার জন্য শাক সবজি এবং ভিটামিন (বিশেষ করে ভিটামিন সি, এ এবং ই) সমৃদ্ধ খাবার বেশী করে খাওয়া উচিত।

আবার অনেকে মনে করেন প্রচুর পানি খেলে ব্রণ কমে এটিও একটি প্রচলিত ভুল ধারনা। পর্যাপ্ত পানি পান করার সাথে ব্রণের কোন সর্ম্পক নেই। শরীরের জন্য প্রতিদিন ২ লিটার পানিই যথেষ্ঠ। অতিরিক্ত পানির কোন বাড়তি উপকার নেই।

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে ব্রণ বাড়ে এ ধারণাটিও সঠিক নয়। অনেকেই মনে করেন কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে ব্রণের বুঝি কোন সর্ম্পক আছে। এটিও একটি প্রচলিত ভুল ধারনা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে অনেক রোগের সর্ম্পক থাকলেও ব্রণের সাথে নেই। আসলে ব্রণ এক ধরনের হরমোনজনিত সমস্যা। এজন্য দেখা যায় একটা নিদিষ্ট বয়সের পরই ব্রণ উঠতে থাকে। বয়:সন্ধির পর ত্বকের তৈল গ্রন্থির অধিক নি:সরণ ব্রণের একটি বিশেষ কারণ।

তবে এর সাথে আরো কিছু বিষয়ের সর্ম্পক আছে। যেমন প্রপাইনোব্যাক্টারিয়াম বলে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া। নখ দিয়ে ব্রণ খুটলে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ আরো বেড়ে যায়। চুলের খুশকি, ত্বকের ময়লাও কখনো কখনো ব্রণের কারণ হয়। নানা রকম স্টেরয়েড ক্রীম বা বাজার চলতি রঙ ফরসাকারী ক্রীমের কারণেও ব্রণ বাড়ে। তাই ব্রণ হলে ভুল পরামর্শের ফাঁদে পড়বেন না।

Related Articles

Back to top button