Bangla Health Bartaমানসিক স্বাস্থ্যস্বাস্থ্য টিপস

আপনার বিষণ্ণতার পেছনে থাকতে পারে যেসব শারীরিক কারণ!

মাঝে মাঝে আমাদের মনটা একটু বেশিই খারাপ থাকে। পৃথিবীর কোনো কিছুই আর ভালো লাগে না তখন। মন খারাপের পেছনের কারণের তালিকাটাও তো বেশ বড়। আর্থিক সমস্যা, সম্পর্কে সমস্যা, চাকরীর অশান্তি, পরীক্ষার খারাপ ফলাফল ইত্যাদি নানান কারণ থাকতে পারে মন খারাপের পেছনে।

বিষন্নতার পেছনে এই সব কারণ ছাড়াও আরো কিছু কারণ থাকতে পারে যেগুলো আপনার মন খারাপ করে দেয়ার জন্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এবং হ্যাঁ, কারণগুলো শারীরিক! জেনে নিন সেই কারণগুলো সম্পর্কে।

যথেষ্ট পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল না খাওয়া

ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইথ ও ডরমাইউথ এর গবেষকরা একটি গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন যে যারা শাকসবজি এবং ফলমূল একেবারেই খান না তাদের মধ্যে বিষণ্ণতার প্রভাব বেশি। প্রায় ৮০০০০ মানুষের খাদ্যাভ্যাসের উপর চালানো এই জরিপে দেখা যায় যে যারা ৮০ গ্রাম এর বেশি শাকসবজি এবং ফল খান তাদের মানসিক স্বাস্থ্য অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি ভালো থাকে।

সারাদিন সূর্যের আলো না দেখা

সকালে ঘুম থেকে উঠে সূর্যের আলো দেখেছেন তো? গবেষণায় দেখা যায় যে তারা ঘরে ভারী পর্দা দিয়ে সূর্যের আলো ঢেকে রাখে কিংবা রাতের শেষ ভাগে ঘুমিয়ে বিকেলের শেষ ভাগে ঘুম থেকে ওঠে তাদের মধ্যে বিষণ্ণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। যায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালানো এই জরিপে ২০ জন ব্যক্তির শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবজনিতএই সমস্যা লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা।

পানিশূন্যতা

শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে ক্লান্তি, মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা দেখা দেয়। এছাড়াও পানির অভাবে মনোযোগেও সমস্যা হয়। তাই পানি কম খেলে মন খারাপ, বিষণ্ণতা কিংবা মানসিক চাপ অনুভূত হতে পারে।

অতিরিক্ত কাজ করা

সাধ্যের বাইরে কাজ করলে অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনুভূত হয়। আর এই মানসিক চাপের কারণে খিটখিটে মেজাজ কিংবা মন খারাপের অনুভূতি হতে পারে। তাই কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাজের চাপ মাথায় না নেয়াই ভালো। তাহলে মন এবং শরীর দুটোই ভালো থাকবে।

ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় কাটানো

২০১৪ সালের অস্ট্রেলিয়ান গবেষকদের একটি গবেষণায় জানা যায় যে যারা দিনের একটি বড় সময় ফেসবুকে কাটায় তাদের মধ্যে বিষণ্ণতা বেশি থাকে। ফেসবুকের অতিরিক্ত লোক দেখানো দুনিয়া আপনার মনে আফসোস এবং বিষণ্ণতা সৃষ্টি করার জন্য আরেকটি কারণ হতে পারে। তাই মন ভালো রাখতে ফেসবুক ব্যবহারের সময় কমিয়ে দেয়াই ভালো।

প্রকৃতি না দেখা

বিষণ্ণতার আরেকটি কারণ হতে পারে প্রকৃতির দেখা না পাওয়া। যান্ত্রিক শহরে ইটপাথর আর গাড়ির ভিড়ে প্রকৃতি একেবারেই হারিয়ে গিয়েছে। কোথাও দেখা যায় না সবুজ বড় বড় গাছ। পাখির ডাকের বদলে এলার্মের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে এখন। আর তাই মানুষের মনটাও যান্ত্রিকতা ও বিষণ্ণতায় ভরে গিয়েছে।

Related Articles

Back to top button