দৈনিক খবর

বারোমাসি বেবি তরমুজ চাষে সফল শাহজল ভাওয়াল

বারোমাসি ফল বেবি তরমুজের চাষে সফল হয়েছেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া গ্রামের বর্গাচাষি শাহজল ভাওয়াল। কীটপ’তঙ্গের আ’ক্রমণ না থাকার পাশাপাশি স্বল্প সময়ে ভালো ফলন হওয়ায় খুশি তিনি। তার সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই বেবি তরমুজ চাষ শুরু করছেন।

মাটি থেকে ১৫-২০ সেন্টিমিটার উঁচু লম্বা বেড তৈরি করে মালচিং পেপার দিয়ে শক্ত করে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। ৪ হাত অন্তর একটি বেড। ১৬ শতাংশ জমির সবটা জাল দিয়ে নিখুঁতভাবে বেড়া দেওয়া। উপরে ছাউনির মতো ঘুরিয়ে মাচা দেওয়া হয়েছে। সেই মাচায় লাউয়ের মতো ঝুলে আছে ছোট-বড় কালো তরমুজ।

চাষি শাহজল ভাওয়াল বলেন, গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থার (জিজেইউএস) কৃষিবিদের সহযোগিতা ও পরামর্শে এবার নিয়ে তৃতীয়বার বেবি তরমুজের আবাদ করেছি। এখানে শারীরিক পরিশ্রম ছাড়া তেমন খরচ হয়নি। বাড়িতে বসেই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বর্তমানে ৪র্থ বার সুইট ব্ল্যাক’ বা কালো জাত ও নতুন ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ বা হলুদ তরমুজ লাগানোর কথা ভাবছি। কারণ, এটি বেশ লাভজনক।

গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থার বাজার শাখার সহকারী ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর ইকবাল আহমদ অভি বলেন, ইফাদের অর্থায়নে গ্রামীণ জন-উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ে এবছর বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৩০ জন চাষির মধ্যে বিনামূল্যে স্যার, বীজ, কীটনাশক, জাল, রশি ও নগদ অর্থসহ তরমুজ চাষের সব উপকরণ দেওয়া হয়৷ এর মধ্যে সাচড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৮টি পয়ন্টে প্রায় ১২৮ শতাংশ জমিতে এই তরমুজ চাষ করা হয়েছে৷ ইতোমধ্যে বাজারে ও স্থানীয়ভাবে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. এএইচএম শামীম বলেন, জলাবদ্ধতা হয় না, এমন ধরনের উঁচু জমি এই বারোমাসি তরমুজ চাষের উপযোগী। ‘সুইট ব্ল্যাক’ বা কালো জাত ও নতুন ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ বা হলুদ জাতের বারোমাসি বেবি তরমুজের আবাদ এখানকার কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করছে।

Related Articles

Back to top button