স্বাস্থ্য খবর

বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত!

বাংলাদেশে জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ২০১৪ সালে সংগ্রহ করা রক্তের নমুনায় জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে। আক্রান্ত রোগী চট্টগ্রামের বাসিন্দা। তার বয়স ৬৭। তবে তিনি ভালো আছেন এবং তার পরিবারের সদস্যরাও ভালো আছেন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জিকা ও ডেঙ্গু ভাইরাস দমন বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী মালেক বলেন, ‘জিকা ভাইরাস প্রাণঘাতী কোনো রোগ নয়। এটা চিকিৎসা করালে ভালো হয়ে যায়। তবে গর্ভবতী কোনো নারী আক্রন্ত হলে বাচ্চার সমস্যা দেখা দেয়।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রন্ত লোকও রয়েছে। তবে এর সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসছে। বর্ষা মৌসুমে এ ভাইরাসের আক্রন্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এ রোগে আক্রন্ত হয়ে যাতে কেউ মারা না যায় সে বিষয়ে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবো।’

প্রসঙ্গত, এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর ভয়াবহ কোনো সমস্যা হয় না। ৫-৭ দিনের মধ্যে এমনিতেই রোগ সেরে যায়। মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। গর্ভবতী নারীরা জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হলে গর্ভস্থ শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে মস্তিষ্কের পরিপূর্ণ বিকাশে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যেটি মাইক্রোসেফালি (Microcephaly) নামে পরিচিত।

ব্রাজিলে গত বছর হঠাৎ করে কয়েক হাজার শিশু স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট মাথা নিয়ে জন্মায়। অনেকেই মনে করছেন জিকা ভাইরাসের কারণে এমনটি হতে পারে। তবে জিকা ভাইরাসের জন্যই যে এমনটি হয়েছে, সে বিষয়ে গবেষণালব্ধ সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ (experimental evidence) মেলেনি। তাই জিকা ভাইরাস আক্রান্ত হলে, গর্ভস্থ শিশুর মাইক্রোসেফালি হতে পারে- এমন ভাবনায় মানুষ অকারণেই মাত্রাতিরিক্ত ভয় পাচ্ছে।

Related Articles

Back to top button