খাদ্য ও পুষ্টিস্বাস্থ্য টিপস

প্যাকেটজাত যে খাবারগুলো প্রতিদিন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে আপনাকে!

১. প্যাকেটজাত বিস্কিট :

প্যাকেটজাত বিস্কিটে সাধারণত যে ধরনের উপকরণ থাকে সেগুলো হল মিহি গমের আটা, চিনি, ভোজ্য উদ্ভিজ তেল, দুধ, বিপরীতমুখী সিরাপ, লবণ, ভিটামিন এবং মালকড়ি কন্ডিশনার।

আমরা জানি যে মিহি ময়দা থেকে এক ধরনের টক্সিন বের হয় যা দেহের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। এছাড়া এই ধরনের প্যাকেটজাত বিস্কিটগুলো এক ধরনের ভোজ্য উদ্ভিজ তেল দিয়ে প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এই উদ্ভিজ তেলটি ফ্যাট ছাড়া আর কিছুই না যেটাতে পুষ্টিকর উপাদান নষ্ট হয়ে যায়।

এই তেলের নষ্ট উপাদানগুলো লিভারকে আক্রান্ত করে এবং এতে থাকা ফ্যাট দেহের সামগ্রিক কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলাফল মৃত্যু। এই বিস্কিটগুলোতে এক ধরনের সিরাপ থাকে যা গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ দিয়ে তৈরি। এই উপাদানগুলো দেহের সুগারের পরিমাণকেও বাড়িয়ে তোলে।

ফলে ডায়বেটিসের মাত্রাটিকেও বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও এতে যুক্ত করা দুধ সিৎসফেনিয়া, অটিজম, বিষণ্ণতাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি করে।

২. প্যাকেটজাত বিভিন্ন প্রস্তুত খাবার :

প্যাকেটজাত বিভিন্ন প্রস্তুত খাবারে যে ধরনের উপাদান থাকে সেগুলো হল ডিহাইড্রেড করা সবজি, পানি, ভোজ্য উদ্ভিজ তেল, হিজলি বাদাম, লবণ, চিনি, মাখন, আদা গুড়া ইত্যাদি।

চিকিৎসক এবং কার্ডিওমেটাবলিক স্পেশালিস্ট বলেন প্যাকেটজাত সমস্ত প্রস্তুত খাবার নিরূদ সবজি দিয়ে তৈরি যেগুলোতে পুষ্টিগুণ একেবারেই নেই। এগুলো শুধুমাত্র ফাইবার এবং ক্যালরিযুক্ত।

এগুলো যখন পুনরায় গরম করা হয় তখন এগুলোতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এছাড়া এগুলো ১২ মাসের বেশি সংরক্ষণ করা যায় না। ১২ মাস পরে এগুলো বিষে পরিণত হয়। সংরক্ষণ বহির্ভূত এসব প্রস্তুত খাবারগুলো কিডনি এবং লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে।

৩. প্যাকেটজাত স্যুপ :

প্যাকেটজাত স্যুপে যে ধরনের উপাদান থাকে সেগুলো হল ময়দা, ভোজ্য উদ্ভিজ তেল, থিকনার, নরম উপাদান, চিনি, লবণ, নিরূদ সবজি, শুকনো গ্লুকোজ সিরাপ, ভোজ্য উদ্ভিজ চর্বি, খামির নির্যাস পাউডার, হাইড্রোলাইজ উদ্ভিজ প্রোটিন, অম্লতা নিয়ন্ত্রক এবং সুগন্ধি।

প্রস্তুত করা টমেটো স্যুপে টমেটো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি যদি এটি দুই দিন সংরক্ষণ করেন তাহলে দেখবেন এর রং পরিবর্তন হয়ে গেছে। যদিও এতে রং পরিবর্তনকারী উপাদানও ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা সুগন্ধি হিসেবেও কাজ করে থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন রং পরিবর্তনকারী উপাদানগুলো এক ধরনের টক্সিন যা লিভার এবং কিডনিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে থাকে। এই টক্সিন লিভারে বেশি পরিমাণে গেলে তা তার কাজে বাঁধা তৈরি করতে থাকে। ফলে আপনার জীবনের ঝুঁকি তৈরি করতে থাকে।

Related Articles

Back to top button