পুরুষের স্বাস্থ্য

পেনিস দাড়াচ্ছে না? আসলেই কি আপনার কোন রোগ আছে? নিন সঠিক পরামর্শ

বিয়ে করেছেন বছর তিনেক। নিজের শরীর সম্পর্কে একগাদা ভ্রান্ত ধারণা থেকে ছুটছেন ডাক্তারের দ্বারে দ্বারে। ২৪/২৫ বছরের এক তরুণ। হাতে অনেকগুলো প্রেসক্রিপশনের ফাইল। বললেন, একটা ছোট চাকরি করেন। শেষ চিকিৎসা নিতে এসেছেন। হারবাল, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, এলোপ্যাথিক, মানসিক, চর্ম ও যৌন সব ধরনের ডাক্তারের কাছে ছুটছেন। ওষুধ খেতে খেতে রীতিমত Frustrated। হতাশ। তিন বছরের দাম্পত্য জীবনে নেমে এসেছে কালো ছায়া।

সুদর্শন তরুণটি বললেন, গত তিন বছরে প্রায় ৬০/৭০ হাজার টাকার ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা বাবদ ব্যয় করেছেন। কোনো কাজ হয়নি। তরুণটির সব শুনে মনে হলো আমাদের মতো অতি কমার্শিয়াল ডাক্তারদের প্রতি আস্থা প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। যাকে বলা হয় কমপ্লিকেটেড কেস। ডাক্তারি ভাষায় এধরনের সমস্যাকে বলা হয়, সাইকো-সেক্সুয়াল ডিজঅর্ডার (Psycho Sexual Disorder)। এটা মোটেও শারীরিক কোনো সমস্যা নয়। শুধু কাউন্সিলিং করতে পারলেই উপকার পাওয়া যায়। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। দুইজনের কাছ থেকে সমস্যাগুলো শুনলাম। যথারীতি দুই-একটা মামুলি টেস্ট দিয়ে রিপোর্ট নিয়ে আসতে বললাম। যদিও প্রায় ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রেই এ বয়সের তরুণদের কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে না। ভ্রান্ত ধারণার কারণে এরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। আমি সব সময় তরুণদের বলি- দয়া করে কখনো কাল্পনিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাবেন না। অযথা যৌন উত্তেজক ওষুধ ও হরমোন ট্যাবলেট সেবন করবেন না। এসব ওষুধের কোনো প্রয়োজন নেই। ভ্রান্ত ধারণার কারণে কোনো ভাবেই ওষুধ সেবন বাঞ্ছনীয় নয়।

তরুণটি যথারীতি রিপোর্ট নিয়ে আসলো। তার হরমোন ও অপর একটি রিপোর্ট একেবারেই নরমাল ছিলো। তরুণটিকে ভবিষ্যতে আর কোনো চিকিৎসকের কাছে যেতে নিষেধ করে বিদায় করলাম। কারণ তরুণদের রিপোর্টে কোনো সমস্যা না থাকলে আমি কখনো কোনো ধরনের যৌন উত্তেজক ওষুধ দেওয়ার পক্ষে নই, যদি কিনা কোনো যৌক্তিক কারণ থাকে। তরুণদের সামান্য কাউন্সিলিং-এ অনেকাংশে সমস্যা লাঘব হয়।

Related Articles

Back to top button