Bangla Health Bartaখাদ্য ও পুষ্টিনারীর স্বাস্থ্যপিরিয়ড

পিরিয়ডের সময় যে খাবারগুলো নারীদের এড়িয়ে চলা উচিত

পিরিয়ডের আগের দিনগুলোতে এবং পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তিকর সমস্যাদেখা দিতে পারে। যেমন বিষণ্নতা, মুডের ওঠানামা, স্তনে ব্যথা, বদহজম, বমি বমি ভাব, খাবারে অরুচি, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ইত্যাদি। এছাড়া আরেকটি যে সমস্যার প্রবলভাবে মুখোমুখি হতে হয়, সেটা হলো পেটব্যথা। কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যা পিরিয়ডের ডেটের আগে এবং পিরিয়ড চলাকালীন এড়িয়ে চললে এসব সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পেতে পারেন। জেনে নিন সেই খাবারগুলো সম্পর্কে।

ক্যাফিনসমৃদ্ধ খাবার ও পানীয়

যেসব খাবার ও পানীয়তে ক্যাফিন রয়েছে সেগুলো না খেলে পিরিয়ডের সময় দেখা দেয়া লক্ষণগুলো অনেকটাই কমে যায়। ক্যাফিনসমৃদ্ধ খাবার ও পানীয় যেমন চকলেট, কফি, চা এবং কোমল পানীয় পিরিয়ডের সময় হওয়া উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং স্তনের ব্যথার অন্যতম কারণ। কিছু এনার্জি ড্রিংকেও ক্যাফিন থাকে। তাই এগুলো বাদ দিয়ে হারবাল চা, পানি এবং সরবত খাওয়া উচিত।

প্রক্রিয়াজাত খাবার

পরিমিত পরিমাণে লবণ গ্রহণ পিরিয়ডের সময় ফোলা ফোলা ভাব, ভার ভার লাগা ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলোতে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে। তাই এগুলো এড়াতে পারলে লবণ গ্রহণের পরিমাণটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এসব খাবারের পরিবর্তে খান তাজা ফল, সবজি, মাছ, বাদাম, শস্য এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত অলিভ অয়েল।

উচ্চমাত্রার ফ্যাটযুক্ত খাবার

শারীরবিদদের মতে, পিরিয়ডের সময় শরীরে হরমোনের যে পরিবর্তন হয়, উচ্চমাত্রার ফ্যাটজাতীয় খাবার শরীরে হরমোনের কাজের ওপর প্রভাব ফেলে। পিরিয়ডের সময় যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় যেমন বমি বমি ভাব বা স্তন ব্যথা, এগুলো হরমোনের পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। অন্যদিকে, খাবারে স্বল্প মাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকলে তা এস্ট্রোজেন হরমোনের অতিরিক্ত মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই পিরিয়ডের সময় গরুর মাংস, ননীযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, সসেজ, বার্গার ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলুন। টাটকা শাকসবজি, ফলমূল, শস্য, মাছ ইত্যাদি খাবারের প্রতি নজর দিন।

অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার

পিরিয়ডের সময় হরমোনের পরিবর্তন চলাকালীন রক্তের সুগার লেবেল ওঠানামা করতে থাকে। এ সময়ে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ফলস্বরূপ মুডের তারতম্য এবং টেনশন দেখা দেয়। প্রক্রিয়াজাত, চিনিযুক্ত খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

Related Articles

Back to top button