জেনে রাখুননারীর স্বাস্থ্যযৌন রোগস্বাস্থ্য খবর

১২ টি বিষয়ে নারী পুরুষের তুলনায় অধিক পারদর্শী !

প্রচুর গবেষনায় দেখাগিয়েছে নারীর এমন কিছু আশ্চয্যজনক গুন আছে যা পুরুষে মাঝে অনুপস্থতিত। আজ আমরা সেসবের মাঝে কিছু অন্যতম বিষয় আলোচনা করবো। কি ভাই গা জ্বলছে

১. নারীরা বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।

সান ডিয়াগো স্টেট ইউনিভার্সিটি অব অফিসার এর এক গবেষনায় প্রাপ্ত তথ্যে নারীর ঘর এবংকর্মক্ষেত্রের জিনিসপত্র পুরুষের তুলনায় বেশি গোছানো থাকে। গবেষনায় আরো জানা যায় নারীরজামাকাপড় এবং বাসস্থানের তুলনায় পুরুষের অফিস/বাসস্থানে ১০থেকে ২০বেশি পরিমানেব্যকটেরিয়া থাকে। স্বভাবতই  ব্যকটেরিয়া পুরুষের অপরিচ্ছন্ন জীবনমানের কারনে হয়।

২. সাক্ষাতকার গ্রহন/প্রদানে নারী বেশি স্বাবলীল।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়েষ্টার্ন অন্টারিও পরিচালিত এক গবেষনায় জানা গেছে নারী অন্য মানুষেরসামনে কথা বলতে (বিশেষ করে চাকুরীর/বিয়ের ইন্টারভিওপুরুষের তুলনায় বেশি স্বাবলীল। কারননারী কেউ একজনের মুখোমুখি হবার কথা থাকলে মানসিকভাবে আগে থেকেই নিজকে খোলামেলা(ফ্রেন্কড্করে নেয়। এবং সম্ভাব্য সব কথাগুলো গুছিয়ে নেয়।

৩. নারী বেশি আবেদনময়ী রূপে প্রকাশ পায়।

বিবর্তনের ধারায় নারী দিন দিন দেখতে অনেক রূপসী এবং আবেদনময়ী হচ্ছেএকই সময়ে পুরুষসেই অনেক যুগ আগ থেকে একই রকম মানসিকতা এবং ফ্যাশান চিন্তার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। লন্ডনভিত্তিক টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত এক আটির্কেলে  (http://www.telegraph.co.uk/news/newstopics/howaboutthat/5912250/Women-getting-more-beautiful-say-scientists.html,০০০ এরও বেশি মানুষকে চার যুগ (৪৮ বছর)ধরে পর্যবেক্ষনের মাঝে রেখে প্রাপ্ত তথ্য মতে যে সকল নারী দেখতে সুন্দরী তারা অন্য (আম/সাধারন)নারীর তুলনায় ১৬বেশি সন্তান জন্ম দিয়ে থাকে (যেহেতু সুন্দরী নারীর প্রতি তার স্বামী বেশিশাররীক মিলনে আগ্রহী হয় তাই সহজ কথায় সুন্দরী নারী অসুন্দর নারীর তুলনায় ১৬ ভাগ বেশিগর্ভধারন করে থাকেন) এবং সুন্দরী নারীদের প্রথম সন্তান প্রসবে ৩৬মেয়ে শিশু জন্ম দেয়। এই সবসুন্দরী মাতাদের কোলে জীনতত্বীয় হিসাবে সুন্দরী মেয়েই ভুমিষ্ঠ হচ্ছে (সাধারনত মা সুন্দর তো মেয়েসুন্দর) তার মানে দিন দিন মেয়ে শিশু তার রূপ বৈভব বেশি নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখছে।

৪. গাড়ী দুর্ঘটনায় পুরুষের তুলনায় নারী যাত্রিগণ অলৌকিক ভাবে বেশি বেঁচে যান।

 খবরটি দুঃখের হলেও সত্য যে – “গাড়ী দুর্ঘটনায় পুরুষ নারীরতুলনায় মরার সম্ভাবনা ৭৭বেশি” – কার্নিগি মিলন ইউনিভার্সিটিরএক গবেষনায়  তথ্য উম্মক্ত হয়েছে। নারী সহযাত্রীকে ধন্যবাদজানানো উচিৎযখন তারা আপনাকে সিট বেল্ট বাঁধার / হেলমেটপরার জন্য চাপাচাপি করে। 

৫. নারী সান্তনা খোঁজায় পুরুষের চেয়ে এগিয়ে।

২,০০০ মানুষের মাঝে চালানো এক মানসিক জরিপ (http://news.bbc.co.uk/2/hi/health/8040699.stm) মতে নারী পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় তাদের সমস্যা নিয়ে অন্যের সাথে আলোচনা করে। ৫৩% নারী যে সব কারন তাদেরকে চিন্তিত করে তা বন্ধুদের সাথে আলোচনা করে সমস্য থেকে মুক্তির সহায়তা চায়। অপরদিকে মাত্র ২৯% পুরুষ তাদের সমস্যা সমাধানে আপনজনের সাথে আলাপ করে।

৬. নারী পুরুষের তুলনায় অধিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবমুক্ত।

শ্রমিক পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্য (http://money.cnn.com/2009/07/22/news/economy/women.recession.fortune/index.htm) মতে  ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাস হতে এখন পর্যন্ত যত মানুষ অর্থনৈতিক মন্দার কারনে চাকুরী হারিয়েছেন তার ৮০% ই পুরুষ। হয়তো এটা পুরুষ প্রধান ক্ষেত্র – যেমন পন্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীচ্যুতির হার বেশি সেই কারনেও হতে পারে। তবে কারন যাই হোক শতকরা চাকুরীর নিরাপত্তার হার নারীদের মাঝে বেশি।

৭. ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পড়ালেখায় ভাল ফলাফল করছে।

বিগত বছরগুলোর শিক্ষা বোর্ডে পাশের হারের পার্থক্য করলে দেখতে পাবেন ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ভাল ফলাফল করছে। একটি মেয়ে পড়ার টেবিলে যত পরিমান সময় দেয় সেই তুলনায় ছেলেরা অনেক পিছনে। পড়ায় মনোনিবেশের ক্ষেত্রেও ছাত্রীরা বেশি যত্নশীল। তাই শিক্ষা খাতে নারীর সাফল্যের হার ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বয়সের দিক দিয়েও মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় কম বয়সে মাধ্যমিক/উচ্চ মাধ্যমিক/স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করছে। পশ্চিমা বিশ্বে গড়পড়তা ছাত্রীরা ছাত্রদের চেয়ে পাঁচ (৫) বছর কম বয়সে গ্রেজুয়েশান শেষ করে।

৮. নারীরা স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করেন।

ইউনিভার্সিটি অব মিন্নিশোটা দ্বারা ১৪,০০০ মানুষের মাঝে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় নারীরা খাদ্য গ্রহনের সময় পুরুষের তুলনায় অধিক হারে স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি নজর দেয়। পুরুষ অনেকটা সামনে যা পায় তা, যেমন ঠান্ডা ফিজ্জা, গরুর মাংশ, চর্বিযুক্ত খাবার যেমন তেমন ভাবে গিলে নেয়। অন্যদিকে নারীরা কষ্ট হলেও খাবার গরম করে খাবেন, যেন তেন খাবারে হাতও লাগাবেন না, খাবারে শাক-সব্জি এবং ফলমুলের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখায়। সব মিলিয়ে নারীরা অনেক স্বাস্থ্য সচেতন। তবে নারীরা চকোলেটের প্রতি একটু দুর্বল – যা তারা চাইলেও অস্বীকার করার অবকাশ রাখেনা।

৯. নারীরা শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যুক্ত।

আশ্চার্য্য হবার কিছু নেই – পুরুষ বাচ্চাদের মত নাকি-কান্না করে সামান্য জ্বর সর্দি লাগলেই; ডাক্তারীবিজ্ঞানে প্রমানিত: নারীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরুষের তুলনায় বেশি। যদি মানুষের শরীরে সামান্য যুদ্ধও ঘটে যায় – নারীর শরীরে “ইষ্ট্রোজেন” (হরমোন) নামক গোপন অস্ত্র সে যুদ্ধ জয় নিশ্চিত করে। ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির গবেষনায় দেখা গেছে ইনফেকশানের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ইষ্ট্রোজেন এক প্রকার শক্তিশালী রক্ষক এর কাজ করে। কারন ইষ্ট্রোজেন একপ্রকার এনজাইম তৈরি করে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বংশবিস্তারে সমস্যার সৃষ্টি করে।

১০. নারী বেশি দিন বাঁচে।

পৃথিবীর জনসংখ্যার মধ্যে যারা ১০০ বছরের বেশি বয়স্ক তার মধ্যে ৮৫% মানুষ নারী (সুত্রঃ নিউ ইংল্যান্ড সেনটিনরাইন গবেষনা)। মোটের উপর পুরুষের তুলনায় নারী ৫ থেকে ১০ বছর বেশি বয়স পায়।

১১. ব্যবস্থাপনায়, বিশেষ করে অর্থনিতীতে নারী ভাল।

এ বিষয়ে অনেকে দ্বিমত থাকলেও ব্যবস্থাপনা পদে নারী পুরুষের তুলনায় অনেক এগিয়ে। এর প্রধান কারন গুলোর মধ্যে – নারী ভাল শ্রোতা, অভিজ্ঞ উপদেশদাত্রী, সমস্যা সমাধনে পটু এবং একই সময়ে অনেক প্রকার কাজ করতে পারদর্শী। নারীরা কাজের সাথে সংযোগস্থাপনকারী, নিজে কিংবা অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়ায় তারা পুরুষ কর্মীর চেয়ে ক্রিয়াশীল। তারা অধনস্থ/সহকর্মীদের মাঝে আবেগ সক্রিয় করায় পারদর্শী।

১২. নারীরা বিনিয়োগে সফল।

১০০,০০০ উদ্দোক্তার তথ্য পর্যবেক্ষন করে প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায় নারী বিনিয়োগকারীরা ব্যবসায়িকভাবে পুরুষের তুলনায় ১১% থেকে ১৮% বেশি সফল। এটার কারন হতে পারে, নারী তার বিনিয়োগ সম্পর্কে পরিণামদর্শী এবং বিনিয়োগের আগে লম্বা সময় নিয়ে এর ভাল-খারাপ দিক গুলো সম্পর্কে চিন্তা করে।

Related Articles

Back to top button