ক্যান্সার

সচেতন হন স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারের বিষয়ে

“ক্যান্সার” শব্দটিই বিভীষিকাময়। কেউ ক্যান্সার-এ আক্রান্ত হলে, শুধু নিজেই নয়, পুরো পরিবারের অবস্থাই এলোমেলো হয়ে যায়। তাই, যে কোন রোগ হয়ে যাবার আগেই সচেতন থাকা এবং প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় উপদেশ মেনে চলাই বুদ্বিমানের কাজ। অর্থাৎ সচেতনতার কোন বিকল্পই নাই।

আজকাল অনেক রোগই আমাদের দেশে উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর তার মধ্যে নারীদের- স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার অন্যতম। কাজেই প্রত্যেক নারীরই উচিত এ দুটি ক্যান্সার সম্পর্কে নূন্যতম হলেও কিছু ধারণা রাখা। যে কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন হলেই দেরী না করে চিকিৎসক এর পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী।

শুধু দেরি করার কারনেই আমাদের দেশে এ দুটি ক্যান্সারজনিত মৃত্যুহার অনেক বেশী। অথচ, সময়মত এবং সঠিক সময়ে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করতে পারলে মৃত্যুর সম্ভবনা নাই বললেই চলে। উল্লেখযোগ্য যে, নিয়মিত চেকআপ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাও প্রাথমিক অবস্থায় রোগ সনাক্তকরণে বিরাট ভূমিকা রাখে।

অনেকেরই হয়তো জানা নেই, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন টিকা আবিস্কৃত হয়নি। কিন্তু জরায়ু ক্যান্সার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাসজনিত হওয়ায় কারনে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকা আছে। বিশ্বব্যাপী এই টিকা অধিকাংশ নারীরাই নিয়ে থাকেন। বাংলাদেশেও এই টিকা এখন সহজলভ্য এবং আ স্ত্রীরোগ গাইনী)বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এ টিকা দিয়ে থাকেন।

শেষ কথা হলো, অযথা ভয় নয়, বরং সচেতন থাকুন। খেয়াল রাখুন, কোন অস্বাভাবিক পরিবর্তন হয় কিনা সেদিকে। কোন সন্দেহ দেখা দিলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আর যারা এখনো জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা এখনো নেন নি অতিসত্বর তা নিয়ে নিরাপদ থাকুন। উল্লেখ্য যে, অবিবাহিত অবস্থায়ই এই টিকা নিয়ে নেয়া উচিত। তাতে কাজ ভালো হয়। নয় বছর বয়স থেকেই এ টিকা নেয়া যায়।

Related Articles

Back to top button