দৈনিক খবর

খাবারের অভাবে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে শ্রীলঙ্কার শিশুরা

এবার খাবারের অভাবে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে শ্রীলঙ্কার বাচ্চারা। স্কুল থেকেও কর্তৃপক্ষ বলছে, খাবার না থাকলে বাচ্চাদের পাঠানোর দরকার নেই। জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করে, অভূতপূর্ব আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কার মানুষের চাকরি গেছে, ব্যবসাও দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। খাবার, ওষুধ, জ্বালানি কেনার পয়সা নেই বহু পরিবারের।

বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার প্রায় শূন্য। তাই বিদেশ থেকে দানাশস্য আমদানি করা যাচ্ছে না। গত ২০২১ সালে তড়িঘড়ি করে শ্রীলঙ্কার সরকার অর্গানিক কৃষির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তাই এই বছর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ফসল কম হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কায় খাদ্যশস্যের ওপর মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশের বেশি।

এদিকে ডয়চে ভেলের খবরের বলা হয়, দেশটির গরিব মানুষ নিয়মমাফিক খাবার পাচ্ছেন না। এদের বেশিরভাগই প্রতিদিনের আয়ের ওপর বেঁচে থাকেন। ফলে তারা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গতমাসে শ্রীলঙ্কার ৩৬ শতাংশ পরিবার নিয়মিত খাবার পায়নি। গত জুনে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার ৫৬ হাজার বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগছে।

খেতে না পাওয়ার জন্য কতজন বাচ্চা স্কুলে যেতে পারছে না, সেই সংখ্যাতত্ত্ব শ্রীলঙ্কার সরকার দেয়নি। তবে গত জুন মাসে জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, যে সব স্কুলে খাবার দেয়া হয় না, সেখানে বাচ্চারা যাচ্ছে না। ইউনিসেফের মুখপাত্র জানান, কিছু এলাকায় স্কুলে বাচ্চাদের যাওয়ার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশে।

এদিকে শ্রীলঙ্কার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব তারা ডি মেল বলেছেন, খাবার পেলেই বাচ্চারা স্কুল যাবে। না হলে গ্রামের দিকে বা যে সব স্কুলে গরিব বাচ্চারা পড়ে, সেখানে তারা খালি পেটে স্কুলে যাবে না।

Related Articles

Back to top button