স্বাস্থ্য খবর

বাংলাদেশে জরায়ুর ক্যান্সার হচ্ছে বছরে ১২ হাজার নারীর

বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার নারী জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে বলে একটি পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাল্যবিবাহ, কম বয়েসে বা ঘন ঘন সন্তান হওয়া, ব্যক্তিগত অপরিচ্ছন্নতা এসবই এর প্রধান কারণ – যা সচেতন হলে অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের পরেই এই জরায়ুর ক্যান্সারের স্থান।

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আজ থেকে জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে একটি সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করেছে। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন এই উদ্যোগের সাথে জড়িত আছেন।

ডা: রাসকিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, বাল্য বিবাহ, অল্প বযেসে সন্তান হওয়া, ঘন ঘন সন্তান হওয়া, ব্যক্তিগত অপরিচ্ছন্নতা – এসবই জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার প্রধান কারণ। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নারীদের মধ্যে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়।

সচেতনতা থাকলেই এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব, বলেন তিনি। তা ছাড়া এই রোগটি আগ্রাসী পর্যায়ে পৌছাতে ২০-২৫ বছর সময় লাগে – ফলে একটি সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমেই এটা ধরা পড়া সম্ভব।
প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসার মাধ্যমে এর নিরাময় করা যাবে, বলছিলেন ডা. রাসকিন।

তিনি বলেন, এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে জরায়ু কেটে বাদ না দিয়েও এর চিকিৎসা সম্ভব।

ডা. রাসকিন বলছিলেন, সচেতনতা সৃষ্টির জন্য তারা শহর ও গ্রামে প্রচুর পরিমাণ পোস্টার ও লিফলেট বিলি করছেন, র‍্যালি করছেন। এর মাধ্যমে জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি এবং কারণগুলো বাংলাদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে।

Related Articles

Back to top button