দৈনিক খবর

কে কি বললো তা নিয়ে ভাবি না, সম্মান এনে দেবেন আল্লাহ: রিজওয়ান

বর্তমান সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধারাবাহিক ক্রিকেটারদের একজন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবুও পাকিস্তানের এই তারকাকে নিয়ে সমালোচনার কমতি নেই। বেশিরভাগ সময়ই দলের প্রয়োজনে রিজওয়ানকে পালন করতে হয় ‘অ্যাঙ্করের’ ভূমিকা। তাতে টি-টোয়েন্টিতেও রিজওয়ানের স্ট্রাইক হয় না প্রত্যাশামতো। ৩০ বছর বয়সী পাকিস্তানি ক্রিকেটার এবারের বিপিএলে খেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে। সর্বশেষ ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে ম্যাচেও ৪৭ বলে ৫৫ রান করেন রিজওয়ান।

ওই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাছে প্রশ্ন ছিল, রিজওয়ানের কম স্ট্রাইকরেটের ব্যাটিং অনেক সময় দলের জন্য ঝুঁকিরও হয়ে যায় কি না? জবাবে তিনি তখন বলেছিলেন রিজওয়ানের ওপর ভরসার কথা। জানিয়েছিলেন ‘রিজওয়ান খেলেন মস্তিষ্ক ব্যবহার করে। ’ কোচের এমন প্রশংসা রোববার সংবাদ সম্মেলনে আসার পর জানানো হয় তাকে। জানতে চাওয়া হয় ধারাবাহিকভাবে রান করে যাওয়ার পেছনের কারণ।

এ সময় রিজওয়ান বলছিলেন, ‘আল্লাহ মস্তিষ্ক দিয়েছেন কাজে লাগানোর জন্য। অন্য কারণে নয়। আমি সেটাই চেষ্টা করি। আপনি ছক্কা হাঁকাবেন নাকি দেখে খেলবেন সেটা তো মস্তিষ্ক থেকেই আসে। মাঝেমাঝে সময় পক্ষে থাকে না। তখন দলের চাহিদা অনুযায়ী খেলতে হবে। কে কী বললো তা নিয়ে ভাবি না। সম্মান আল্লাহ এনে দেবেন। ’

তিনি বলেন, ‘অ্যাঙ্করিং’ করাকে কখনো কখনো বিব্রতকরও বলছেন রিজওয়ান, ‘এই ভূমিকা পালন করা অনেক কঠিন। তবে আমি তো জানি কী করতে হবে। দল আমার কাছে যা চায় তা-ই করব। কোচ, অধিনায়ক, দলের মালিক- সবাই আমার পারফরম্যান্সে খুশি। সবার পারফরম্যান্সেই। অ্যাঙ্করিং রোল যে-ই পালন করুক। কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ অনুযায়ী খেলতে হবে। মাঝেমাঝে একটু বিব্রত হতে হয়। টি-টোয়েন্টিতে সবাই চার-ছক্কা চায়, ৩৫ বলে ৬০-৭০ রান চায়। তবে আমার কাছে কীভাবে ম্যাচ জেতা যায়, আমি কীভাবে অবদান রাখতে পারি এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটে আমার আইডল এবি ডি ভিলিয়ার্স। তার টেস্ট থেকে টি-টোয়েন্টি- সব পারফরম্যান্স আমি ভালো করে লক্ষ্য করেছি। মাঝেমাঝে টি-টোয়েন্টিতে ধীর ব্যাটিংটাই হয়ে ওঠে দলের চাহিদা। দলের যখন বড় শট দরকার সেভাবে খেলেই মোমেন্টাম আনতে হবে। আল্লাহ সহায়তায় আমি সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।’

Related Articles

Back to top button