খাদ্য ও পুষ্টি

৬টি কারণে রোজ খাওয়া উচিত কিসমিস

কিশমিশ আমরা সকলেই খুব ভালো করে চিনি। যে কোনো মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজেই আমরা কিশমিশ ব্যবহার করে থাকি।

এছাড়াও অনেকে পোলাও, কোরমা এবং অন্যান্য অনেক খাবারে কিশমিশ ব্যবহার করেন। রান্নার কাজে ব্যবহার করলেও আমরা কিশমিশ সাধারণ ভাবে খাই না। অনেকে তো ভাবেন এমনি কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এই কথাটি আসলে সত্যি নয়।

প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। আমরা সাধারনত উৎসব বা অনুষ্ঠানের রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করি। এছাড়া কেউ কিশমিশ খাই না। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিনই কিশমিশ খাওয়া উচিৎ। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার কার্যকর কিছু কারন।

দেহে শক্তি সরবরাহ করে:

যদি দুর্বলতা অনুভব করেন তাহলে দেরি না করে কিছু কিশমিশ খেয়ে নিন। কিশমিশে রয়েছে চিনি, গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ তা তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেহে এনার্জি সরবরাহ করবে। (ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য প্রযোজ্য নয়)।

দাঁত এবং মাড়ির সুরক্ষায় কিশমিশ:

বাচ্চারা ক্যান্ডি ও চকলেট খেয়ে দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু বাচ্চাদের ক্যান্ডি বা চকলেটের পরিবর্তে কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করালে দাঁতের সুরক্ষা হবে। অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিশে তো চিনি রয়েছে। কিন্তু চিনি থাকার পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয়।

হাড়ের যত্নে কিশমিশ:

কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মজবুত করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কিশমিশে আরও রয়েছে বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা থেকে দূরে রাখবে।

ইনফেকশন হতে বাঁধা প্রদান করে:

কিশমিশের মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান যা কাঁটা ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা দূরে রাখে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:

কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের কোষগুলোকে ফ্রি র্যা ডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাঁধা প্রদান করে। কিশমিশে আরও রয়েছে ক্যাটেচিন যা পলিফেনলিক অ্যাসিড, এটি আমাদের ক্যান্সার মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:

কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের পরিপাকক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

Related Articles

Back to top button