হালে চোখে আইল্যাশ পরার ফ্যাশন বিপুলভাবে দেখা যায়। শুধু যে নারীরা পরে তা নয়, পশ্চিমা দুনিয়ায় পুরুষদের মধ্যেও আইল্যাশ পরার প্রবণতা চোখে পড়ার মতো। তবে যারাই পরেন,এতে সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে চোখের আলোও চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে বলে তীব্র আশংকা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
সম্প্রতি এক গবেষণায় যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চোখের আইল্যাশ দীর্ঘ হলে, অথবা দীর্ঘ সময় চোখে থাকলে তাতে চোখের আলো ধীরে ধীরে শুকিয়ে যেতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, আইল্যাশগুলো সাধারণত তুলনামূলকভাবে খুবই পাতলা, সরু ও লম্বা হয়। এতে করে চোখে একধরনের সূক্ষ্ম বায়ুর টানেল তৈরি হয়। যাতে বেশি পরিমাণে বাতাস চোখের উপরিভাগের দিকে চাপতে থাকে। এর ফলে চোখে আলোর প্রতিফলনকে বাধাগ্রস্ত হয়।
একইসঙ্গে চোখে প্রচুর পরিমাণে বালুর কণা প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়। যা চোখে আলোর সজীবতাকে শুকিয়ে ফেলে।
গবেষক গিলারমো অ্যামাডোর বলেন, ‘সুন্দর আর লম্বা ও বানানো ফেক আইল্যাশ চোখের পক্ষে মোটেও ভালো কোনো নমুনা নয়।’ ‘এগুলো হয়তো ভালো দেখায়, কিন্তু আপনার চোখের স্বাস্থ্যের জন্য তা একদমই ভালো নয়।’
তবে ছোট আইল্যাশও চোখের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে না। কারণ এতে করে বাইরের বায়ুপ্রবাহ থেকে আপনার চোখকে ভালোমতো যত্নে রাখতে পারে না এসব আইল্যাশ।
প্রধান গবেষক প্রফেসর ডেভিড হু বলেন, ‘চোখে পরলে ছোট আইল্যাশগুলোও লম্বা হয়ে যায়। এগুলো চোখের কর্নিয়ার উপরে ধীর গতির বায়ুর স্তর সৃষ্টি করে বাতাসের প্রবাহ কমিয়ে ফেলে।’
একইভাবে ‘চোখের আদ্রতা দীর্ঘ সময় ধরে ধরে রাখতে পারে না এ ধরনের আইল্যাশ।’
তবে গবেষকরা ফেক আইল্যাশের চেয়ে পশুর চোখ থেকে নিয়ে তৈরি মোটামুটি প্রাকৃতিক আইল্যাশ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
গবেষকরা বলেছেন, তাতে এ ধরনের আইল্যাশের দৈর্ঘ্য ফেক ল্যাশের চেয়ে মোটামুটি পারফেক্ট। তাতে চোখের দৈর্ঘ্যের এক তৃতীয়াংশ হয় এসব প্রাকৃতিক ল্যাশ। ২২ ধরনের প্রাণীর মধ্যে এই আইল্যাশ পাওয়া যায়।