যৌন স্বাস্থ্য

যৌন রোগের লক্ষন প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

যৌন রোগ আক্রন্ত পুরুষ অথবা নারী যৌন মিলনের সময় তার যৌন সঙ্গীর দেহে এসব রোগ সংক্রমিত করে। এ কারণে এগুলিকে যৌন সংক্রমিত রোগ বলা হয়।অনেক স্থানে বহু সংখ্যক যুবক এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

যৌনাঙ্গের রোগ সম্পর্কে আলোচনা করতে হলে আপনার উপর রোগূর আস্থা থাকতে হবে অর্থাৎ তাদের বিশ্বাস করতে হবে যে এসব রোগের চিকিৎসা আপনি জানেন, তাদের এসব সম্যসা গোপন রাখবেন এবং আপনার সাথে তার অনায়াসে এগুলো আলোচনা করতে পারবেন।

যৌন রোগের লক্ষণ

পুরুয়ের লিঙ্গ থেকে নিঃসরণ
নিঃসরণ হচ্ছে সাদা বা হলুদ (হালকা হলুদ) জাতীয় পদার্থ এবং প্রসাবের সমং সাধারণত ব্যথা হয়।

মনে রাখুন

  • যৌন রোগী যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে সঙ্গীর দেহে রোগ সংক্রমিত করে।
  • এই সব রোগ যাদের আছে অনেক সময় তারা তা জানে না অথবা এ রোগের প্রতি কোন নজর দেয়না।
  • একাধিক সঙ্গীর সাথে যৌন সঙ্গম করলে এ সব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • যৌনাঙ্গ যদি প্রতিদিন, বিশেষ করে প্রত্যেক সঙ্গমের পর পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে যোন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
  • কনডমের সঠিক ব্যবহার অনেকক্ষেত্রে যৌনরোগ প্রতিরোধ করে।

কিবাবে যৌন রোগ প্রতিরোধ করতে হয়:

এসব রোগ যাতে না হয়, সে জন্য জনসাধারণকে বলুন:
১. যাদের অনেক যৌন সঙ্গী আছে তাদের সাথে সঙ্গম এড়িয়ে চলতে ।
২. সব সময় সাবান ও পানি, বিশেষ করে যৌন সঙ্গমের পর যৌনাঙ্গ ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে।
৩. রোগীর যৌন সঙ্গীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে, যাতে এই রোগ অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়।
৪. কনডম ব্যবহার করতে বলুন।
কেউ যদি মনে করে তার যৌন রোগ আছে তাহলে যথা শিঘ্র সম্ভব পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করানো উচিত। শুরুতে যৌন রোগের চিকিৎসা করা সহজ, পরে চিকিৎসা করা কঠিন।

যথাযথ ও তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না হলে কি ঘটতে পারে

সংক্রমনের চিকিৎসা যদি তাড়াতাড়ি না হয়, তাহলে তা যৌনাঙ্গের বাহির থেকে যৌনাঙ্গের ভিতর প্রবেশ করবে। মহিলাদের বেলায় এটা জরায়ু টিউব ও ডিম্ব কোষ এবং পুরুষের বেলায় অন্ডকোষ আক্রমন করবে। এটা প্রথম দিকে সাংঘাতিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে এবং পরবর্তী সময়ে মহিলা বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে অথবা পুন: পুন: গর্ভ নষ্ট হতে পারে অথবা মৃত বাচ্চা প্রসব করতে পারে।

পুরুষেরা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। আক্রান্ত পুরুষ অথবা মহিরার অন্যান্য যৌন সঙ্গীর মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়বে। গর্ভবতী মহিরার যৌন রোগের চিকিৎসা না হলে, বাচ্চা যৌন রোগ নিয়ে জন্ম গ্রহণ করতে পারে।

চিকিৎসা

রোগীকে টেট্রাসাইক্লিন টেবলেট/ক্যাপসুল দিতে হবে, ২টি করে (প্রত্যেকটি ২৫০ মি: গ্রা: হলে) এবং ১টি করে (৫০০ মি: গ্রা: হলে) দিনে ৪ বার সাত দিনের জন্য। এই চিকিৎসার পর নি:সরণ বন্ধ হয়ে গেলে, বুঝতে হবে রোগ সেরে গেছে। এবপরও যদি নি:সরন থাকে, রোগীকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা হাসপাতালে পাঠিয়ে দিন। গত দুই সপ্তাহ কালীন তার সকল যৌনসঙ্গীকে একই চিকিৎসা দেয়া উচিত।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Related Articles

Back to top button