কাজের মাঝেই ব্যায়াম
সারাদিন তো দৌড়ঝাঁপ বা কাজেই চলে যায়, ব্যায়াম করবার সময় কই! এই অভিযোগ শুধু আপনার-আমার নয়, এই অভিযোগ কম বেশী সকলেরই। সময়ের অভাব হোক, কিংবা আলসেমির কারণেই হোক- ব্যায়ামটা অনেকেই ঠিক করে উঠতে পারেন না।
কর্মব্যস্ত দিনের শুরুতে সকাল গুলো কিভাবে যেন চোখের পলকেই উড়ে চলে যায়, আর দিন শেষে এত ক্লান্ত লাগে যে ব্যায়ামের নামও মনে আসে নয়া। অনেকে আবার চেষ্টা করেন ঠিকই, কিন্তু বোরিং লাগে বলেও দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
সেই সমস্ত সমস্যার খুব সহজ সমাধান কিন্তু আছে। সারাদিন কাজের ফাঁকে বা বিকেল বেলা খেলার ছলে যদি সেরে নেয়া যায় শরীর চর্চার পর্বটা, তাহলে ক্ষতি কি বলুন? বিরক্তিকর তো লাগবেই না, বাড়তি কোনও ঝামেলাও হবে না। অন্য দিকে মনটাও হয়ে যাবে ফুরফুরে। মনেই হবে নয়া যে বিশাল ঝক্কির ব্যায়াম করা হলো। আসুন জেনে নেই সেইসবেরই নানা দিক।
* অ্যারোবিক্স এক্সারসাইজের একটি ডিভিডি কিনে নিন এবং দিনের এক ফাঁকে ভিডিও দেখে শেখানো কোনো ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। টিভিতেও বেশ কয়েকটা চ্যানেলে এই ব্যায়াম শেখানো হয়। অনায়াসে টিভির সামনেই সেরে নিতে পারেন ব্যায়াম।
* বাড়ির ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে পার্কে গিয়ে খেলা করুন। এতে বাচ্চা আপনার সঙ্গ পেয়ে আনন্দিত হবে এবং আপনিও থাকবেন ফিট। ছোটাছুটি করে খেলতে হবে এমন খেলা খেলুন। বসে থেকে কোনো ধরনের খেলা করলে আপনার ক্যালরি কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই ছোটাছুটি করে খেলা করুন।
*বাচ্চাদের স্কুল বা টিচারের বাসায় পৌঁছে দিয়ে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরুন। সম্ভব হলে হেতেই বাজার করতে যান। অফিস কাছে হলে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফেরা অভ্যাস করুন।
* লিফ্ট যথাসাধ্য ব্যবহার কম করুন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন।
* সাঁতার কাটতে ভালো লাগলে বা সাঁতার কাটার সুবিধা থাকলে প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট সাঁতার কাটুন। এটি ক্যালরি কম করার খুব ভালো পদ্ধতি।
* কোনো ভালো মিউজিক বা গান শুনুন এবং তার সঙ্গে নাচতে থাকুন। নাচ খুব ভালো একটি ব্যায়াম।
* ফুল বা ফলের গাছ লাগানোর শৌখিনতা থাকলে প্রতিদিন গাছের পরিচর্যা করুন, সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন। বাগান তৈরির এই শৌখিনতা স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে ।
* নিয়মিত ব্যাডমিন্টন/ টেবিল টেনিস ইত্যাদি খেলার অভ্যাস করতে পারেন।
* আপনার বাড়িঘর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নিজের কাছে রাখুন। প্রতিদিন বাড়ি ঝাড় দেয়া, ঘর মোছা বা বাড়ির সামনের লন নিজে পরিষ্কার করুন। এতে আপনার বাড়িঘর পরিষ্কার থাকার সঙ্গে সঙ্গে আপনার ক্যালরি কমে গিয়ে আপনার শরীরও সুস্থ থাকবে।
* বাড়ির বেশিরভাগ কাজ নিজের দায়িত্বে রাখুন। কাজের তদারকি নয়, সব কাজ নিজের হাতে সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন। ফলে বুয়ার উপরেও নির্ভরশীলতা কমবে।
* রান্নাঘরের সব রকম কাজ নিজে করুন।
* টিভি দেখতে দেখতে কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম সেরে নিতে পারেন অনায়াসেই।
প্রতিনিয়ত এ ধরনের কিছু সাধারণ অভ্যাস আপনার শরীরকে যেমন সুস্থ ও নীরোগ রাখবে। তেমনি মঙকেও রাখেব প্রফুল্ল। যদি হবে না একবিন্দু বাড়তি খরচ!!