সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন? চিনে নিন আপনার জন্য জরুরী ৮টি খাবার
মাতৃত্ব যে কোন নারীর জন্যই বিশাল বড় একটি শারীরিক ও মানসিক ধকল। শুধু ধকল বললে কম বলা হবে। ৯ মাস গর্ভধারণের পর যখন সন্তান আসে পৃথিবীতে, সেই নবজাতককে জন্ম দেয়ার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই চলে আসে তাকে লালন পালনের দায়িত্ব।
সব মিলিয়ে মা শারীরিকভাবে হয়ে পড়েন ভীষণ বিপর্যস্ত। কিন্তু নিজেকেও তো ঠিক রাখতে হবে, নয় কি? তাছাড়া আপনি সুস্থ না থাকলে সন্তান সুস্থ থাকবে না। আপনি ঠিক মত না খেলে সন্তান পুষ্টি পাবে না। আসুন, আজ চিনে নিই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েদের জন্য জরুরী ৮টি খাবার।
পানি
সঠিক পরিমাণে দুধ উৎপাদনের জন্য পানি খুবই দরকারী। পানির অভাবে আপনার দেহ ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাবে আর শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। প্রচুর পরিমাণে সাদা পানি পান করুন।
মাছ
প্রোটিনের খুব ভালো উৎস হচ্ছে মাছ। নানান রকম ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদানে ভরপুর মাছ এই সময়ে খাওয়া খুবই জরুরী। তবে চিংড়ী জাতীয় মাছ এড়িয়ে যাবেন এবং সামুদ্রিক মাছ খেতে পারবে আরও ভালো।
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার
শরীরে এনার্জি ধরে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার অবশ্যই খেতে হবে। এই সময়ে ডায়েট করার কথা ভাববেন না।
লাল মাংস
বুকের দুধ প্রদানকারী মায়েদের জন্য খনিজ জিঙ্কের প্রয়োজন হয় যা গরুর মাংসে রয়েছে। এতে উচ্চমাত্রার প্রোটিন রয়েছে যা স্তন্যদানকালীন সময়ে দেহের খড় পূরণে অত্যন্ত সহায়ক।
ডিম
ডিমে প্রোটিন, কোলাইন, লুটেন, ভিটামিন বি১২ ও ডি, রিবোফ্লোবিন এবং ফোলেট রয়েছে। প্রতিদিন একটি ডিম অবশ্যই খেতে হবে এই সময়ে।
সবুজ শাকসবজি
হজমে সমস্যা হয় আপনার, এমন সবজি বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত সবজি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে আপনি যেমন প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল পাবেন, তেমনই আপনার সন্তানও পাবে।
বাদাম ও বীজ
বিভিন্ন বাদাম এবং বীজ প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসসহ মনোস্যাটুরেটেড ও পলিস্যাটুরেটেড ফ্যাটে পূর্ণ। এটা আপনার দুধের পুষ্টি বাড়ায়, সন্তানের জন্য উপকারী।
তাজা ফল ও দুধ
দৈনিক এক গ্লাস দুধ অবশ্যই খেতে হবে। সাথে খাবেন প্রচুর ফল। টক জাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো। কলা, পেঁপে, কমলা, আঙুর এসব ফল অনায়াসে খেতে পারেন।