নারীর স্বাস্থ্য

মানসিক চাপ থেকে ব্রণ

লেজার, ফ্যাসিয়াল বা হারবাল চিকিত্সা কোন কিছুতেই ব্রণের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। অপর্যাপ্ত চিকিত্সা ও ভুল চিকিত্সায় ব্রণ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ত্বকে স্থায়ী ক্ষত বা গর্ত তৈরী হতে পারে।

মানসিক চাপ থেকে ব্রণ

মানসিক চাপ থেকে ব্রণ

স্ট্রোস বা  মানসিক  চাপ  শুধু শারীরিক সমস্যাই করে না স্ট্রেসের কারণে ত্বকে ব্রণ বা একনি হতে পারে। প্রবল মানসিক চাপের কারণে শরীরে হরমোন নি:স্বরণের গতি বেড়ে যায়। আর এই হরমোন একনি সৃষ্টিতে সহায়ক। এছাড়া স্ট্রেস একনির অবস্থার অবনতি ঘটাতে অন্যতম একটি ফ্যাক্টর।

স্ট্রেস দু’ভাবে একনি ক্ষতিগ্রস্ত করে

এক: স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে এড্রিনাল গ্লান্ডকে স্টিমুলেট করে। ফলে অধিক হরমোন নি:সরিত হয়।
দুই: মানসিক চাপের কারণে বিদ্যমান একনি নিরাময়ের গতি মন্থর হয়।
এড্রিনাল গ্লান্ড থেকে নি:সৃত কর্টিসোল হরমোন ত্বকের তৈলাক্ত গ্রন্থিকে অতিরিক্ত তেল বা সেবাম উত্পাদনে সাহায্য করে। ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে এবং ত্বকের পোরস বা ক্ষুদ্রাতি ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একনি বেড়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে একনির তীব্রতায় প্রদাহ হতে পারে। আর যদি একনির এ অবস্থায় দ্রুত সঠিক চিকিত্সা না দেয়া যায় তবে একনি থেকে ক্ষত তৈরী হয় এবং মুখের ত্বকে স্কার সৃষ্টি হয়। তাই ত্বকের ব্রণ চিকিত্সার ক্ষেত্রে শুধু ওষুধই যথেষ্ট নয়, মানসিক চাপ থাকলে তা অবশ্যই কমাতে হবে। তা না হলে একনির তীব্রতা কমানো যাবেনা।
টেসটেসটেরণ হরমোনের জন্য ব্রণ
শুধু কর্টিসোল হরমোন নয়, শরীরে টেসটেসটেরণ হরমোনের আধিক্যের কারণেও অয়েল গ্লান্ড স্টিমুলেটেড হয়। এ কারণেও একনি বাড়তে পারে। তাই একজন দক্ষ ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিত্সা নেয়া খুবই দরকার। তবে ইদানিং অনেক একনি আক্রান্ত রোগী দেখা যায় যারা একনির ক্ষেত্রে বিকল্প চিকিত্সার প্রলোভনে আকৃষ্টি হন। লেজার, ফ্যাসিয়াল বা হারবাল চিকিত্সা কোন কিছুতেই একনির সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। একনির যথাযথ চিকিত্সা করতে হলে অবশ্যই প্রটোকল অনুযায়ী একনির ধরণ বুঝে চিকিত্সা দিতে হবে। অপর্যাপ্ত চিকিত্সা ও ভুল চিকিত্সায় একনি ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং ত্বকে স্থায়ী ক্ষত বা গর্ত তৈরী হতে পারে। তাই একনির সমস্যা অবহেলা করা বাঞ্জনীয় নয়।
হালকা ব্যায়াম বা জগিং
যদি মানসিক চাপ কমানোর মত অবস্থা না থাকে এবং  যে কারণে আপনার মানসিক চাপ তৈরী হচ্ছে সে পারিপাশ্বিকতার নিরসন না ঘটে তবে প্রতিদিন খানিকটা হালকা ব্যায়াম বা  জগিং করলেও স্ট্রেস অনেক খানি কমতে পারে। পাশাপাশি একনি প্রবণ ত্বকের অয়েল কন্ট্রোলে ডার্মাটোলজিস্ট রিকমেন্ডেড কোন ভালো ক্লিনজার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি প্রয়োজন সাউন্ড স্লিপ বা ভালো ঘুম।এছাড়া হালকা মেজাজে থাকতে চেষ্টা করুন।  বই পড়ুন। সম্ভব হলে কমেডি ছবি দেখুন। এতে আপনার স্ট্রেস কমতে পারে। যার ফলশ্রুতিতে একনি কমতে সহায়ক হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Related Articles

Back to top button