টুথপেস্টের ৫টি দারুণ ঘরোয়া ব্যবহার
শারীরিক সমস্যা বিশাল আকার ধারণ না করা পর্যন্ত আমরা সাধারণত ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না। তবে এটা ঠিক যে ছোটখাট অনেক বিষয় বাড়িতেই সামলে নেয়া যায়।
আর আমাদের সাহায্য করে কিছু ঘরোয়া উপাদান। সাধারণত রান্নাঘরের ভেষজগুলোই আমরা কাজে লাগাই। তবে কাজে আসতে পারে কিন্তু অন্য জিনিসও। যেমন টুথপেস্ট। অবাক হচ্ছেন? আপনার দাঁত মাজার টুথপেস্টটিও হতে পারে ছোটখাট সমস্যার সমাধান।
পোকার কামড়
পিঁপড়া থেকে শুরু করে যেকোনো পোকার কামড়ে টুথপেস্ট বেশ কাজে দেয়। আক্রান্ত জায়গায় টুথপেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে দিন। ব্যথা সেরে যাবে। ফোলা বা চুলকানিও কমে যাবে খুব দ্রুত।
আগুনের ছ্যাঁকা
নতুন রাঁধুনী হোক আর অভিজ্ঞ রাঁধুনী, রান্নাঘরে কখনোই আগুনের ছ্যাঁকা খাননি এমনটি হতেই পারে না! আগুন বা গরম জিনিসের ছ্যাঁকা লাগলে অথবা গরম বাষ্পের ভাঁপ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে জায়গাটিতে টুথপেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে দিন। আরাম পাবেন। জ্বালাপোড়া মুহূর্তেই ঠিক হয়ে যাবে। তবে বেশী পুড়ে গেলে এটা মোটেও অবলম্বন করবেন না। কেবল হালকা ছ্যাঁকার ক্ষেত্রে।
চিক পেইন
যাঁদের সাইনোসাইটিস আছে তাঁরা প্রায়ই চিক পেইন বা গালের ব্যথায় ভুগে থাকেন। যেখানে যেখানে ব্যথা সেখানে সেখানে পুরু করে টুথপেস্টের প্রলেপ রাখিয়ে রাখুন। ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
শ্বাসকষ্ট
অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হলে বা ঠাণ্ডা লেগে গিয়ে অনেকেরই নাক বন্ধ হয়ে যায়। আবার অনেকেই শ্বাসকষ্টের কারণে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা অনুভব করেন। এমনটি হলে নাকের ওপরে, দুপাশে ও নাকের ছিদ্র ঘিরে টুথপেস্ট লাগান। বন্ধ নাক খুলে যাবে, শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যাবে নিমেষেই।
ব্রণের ব্যথা ও ফোলা
ব্রণের সমস্যা এমন একটি সমস্যা যাতে কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। কোনো কোনো প্রচণ্ড ব্যথা হয়ে যায় ও ফুলে ওঠে। এরকম ব্রণের ওপর ও চারপাশে টুথপেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে রাখুন। ব্রণের ব্যথা ও ফোলা দুই-ই কমে যাবে।