জেনে নিন টাইফয়েড ও ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে কী করা উচিত?
টাইফয়েড ও ডেঙ্গু বেশ মারাত্মক জ্বর। সময়মতো এর চিকিৎসা না নিলে এগুলো প্রাণঘাতী হয়ে ওঠতে পারে। এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মহিউদ্দিন আহম্মেদ। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের মেডিসিন ও আইসিইউ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : টাইফয়েড জ্বর ও ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে কী করা উচিত?
উত্তর : টাইফয়েডের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি বিষয় যেটা,আমাদের নগরায়নের সাথে এটি আসলে অনেকাংশে জড়িত। আমরা যেই পানি খাচ্ছি সেটি খাওয়ার যোগ্য কি না—এমন প্রশ্ন ওঠে। টাইফয়েড ছাড়াও আরো অনেক রোগের সংক্রমণ হচ্ছে এই পানি সংক্রমণের জন্য।
আবার অনেককেই দেখা যায় বাসার বাইরে খাওয়া-দাওয়া করতে হয়, হোটেল-রেস্টুরেন্টে। অনেক জায়গায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা হয় না। এটা একটা অন্যতম কারণ। আমি মনে করি হোটেল রেস্টুরেন্টে যারা কাজ করে তাদেরও একটি স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক শিক্ষা দেওয়া উচিত। পানি ও খাদ্য যেন অবশ্যই বিশুদ্ধ হয়।
প্রশ্ন : অনেকে হয়তো ফুটানো পানি পান করছে। তবে প্লেট গ্লাস ধুচ্ছে ট্যাপের পানিতে। সে ক্ষেত্রে কী করণীয়?
উত্তর : আসলে রাষ্ট্রীয়ভাবে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হয় ভালো হয়। কারণ, প্রতি বছর অনেক লোকের টাইফয়েড হচ্ছে। তাদের কর্মঘণ্টার ক্ষতি হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। যখন একজন মানুষ অসুস্থ হয়, তাকে কেন্দ্র করে আরো অনেক মানুষ জড়িয়ে পড়ে। সবকিছু মিলিয়ে এটা জাতীয় ক্ষতি।
প্রশ্ন : ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে পরামর্শ কী?
উত্তর : ডেঙ্গু জ্বরের সাথে পরিষ্কার পানির একটি সম্পর্ক রয়েছে। যেমন আরেকটি এমন জ্বর রয়েছে চিকুন গুনিয়া ভাইরাস, যেটার সাথে ময়লা পানির সম্পর্ক রয়েছে—এটাকে আমরা পাচ্ছি। শহর অঞ্চলে দেখা যায় যত্রতত্র পরিষ্কার পানি জমে থাকার অনেক ক্ষেত্র আমরা তৈরি করেছি। বিশেষ করে বাসা বাড়িতে বা অফিস আদালতে এসির পানি পড়ছে, কিংবা ফুলের টবে পানি জমে আছে, কিংবা অপ্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় পাত্র রেখে দিচ্ছি যেখানে পানি জমে থাকছে, সেই ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো সচেতনভাবে আমাদের খেয়াল করতে হবে।