ওষুধ ছাড়াই ৮টি খাবারের মাধ্যমে দূর করুন কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা
মাঝে মাঝে এই সমস্যাটি সবারই হয়, অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই পেট খালি করতে পারা যায় না। কোনো রকমের ওষুধ ছাড়াই কোষ্ঠকাঠিন্যের এই ফ্যাসাদ দূর করতে আপনার উপকারে আসতে পারে এই খাবারগুলো।
কোষ্ঠকাঠিন্যের পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। খারাপ খাদ্যভ্যাস, ব্যায়ামের অভাব, কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ট্রেসের কারণেও এই সমস্যাটি হয়। সাধারণত খাবারে একটু বেশি ফাইবার বা আঁশযুক্ত উপাদান রাখলেই আর সমস্যা হয় না।
যে কোনো ফল বা সবজিই খাওয়া যেতে পারে, তবে বিশেষ কিছু খাবার আছে যেগুলো এই সমস্যার জন্য বেশি উপকারি।
১) কফি
শরীর থেকে ঘুমের ভাব কাটাতেই বেশিরভাগ মানুষ কফি পান করেন, কিন্তু এটা অন্যান্য কারণেও উপকারি। কারো কারো ক্ষেত্রে এটা পেট নরম করতে সাহায্য করে। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গিয়ে অতিরিক্ত কফি পান করে বসবেন না যেন, এতে ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে। ২-৩ কাপের বেশি পান না করাই ভালো।
২) পানি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীর যথেষ্ট পানি না পাওয়ার কারণে তৈরি হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। এ কারণে যথেষ্ট পানি পান করুন। বিশেষ করে আপনি যখন ব্যায়াম করছেন বা বাইরে অনেকটা সময় গরমে কাটাচ্ছেন, তখন পানি বিশেষ জরুরী।
৩) কমলা
না, জুস নয়। বরং আস্ত কমলা ফলটাকেই খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বেশ কিছুটা ফাইবার থাকে। শুধু তাই নয়, ২০০৮ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, কমলায় থাকা নারিনজেনিন নামের একটি উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
৪) পপকর্ন
স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় পপকর্ন নেই বটে। কিন্তু এটায় আছে অনেকটা ফাইবার। এ কারণে তা আপনার সাহায্য করতে পারে। তবে সাবধান, মাখনে ভরা ফ্যাটি পপকর্ন খাবেননা। দরকার হলে বাড়িতেই তৈরি করে নিন একদম সাধারণ পপকর্ন।
৫) লাল চাল
প্রতি কাপ লাল চালে থাকে ৩.৫ গ্রাম ফাইবার। এ ছাড়াও এটি সাধারণ সাদা চালের চাইতে বেশি পুষ্টিকর। এ ছাড়াও খেতে পারেন বিভিন্ন হোল গ্রেইন।
৬) পালং শাক
না, কাঁচা খেতে হবে না। এক কাপ সেদ্ধ পালং শাকেই থাকে চার গ্রাম ফাইবার। এছাড়াও থাকে ১৫০ মিলিগ্রামের বেশি ম্যাগনেসিয়াম, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
৭) টকদই
টকদইয়ের প্রোবায়োটিক গুণাগুণ আপনার হজমের সমস্যাকে দূর করতে সহায়ক। নিয়মিত টকদই খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হবার সম্ভাবনা কম থাকবে।
৮) ইসুপগুলের ভুষি
ইসুপগুলের ভুষি পানির সাথে মিশিয়ে খেলে যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সুরাহা হয় এটা প্রায় সবাই জানেন। তবে খেতে হবে নিয়ম মতো। অনেকেই ইসুপগুলের ভুষি পানিতে ভিজিয়ে রাখেন এবং পরে খান। এতে আসলে উপকার হয় না। বরং পানিতে দিয়ে সাথে সাথেই খেয়ে ফেলতে হবে।