কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে তথ্য না জানায় বঞ্চিত হয়

প্রবাসী কর্মীদের সুবিধায় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড গঠন করে বাংলাদেশ সরকার। এখান থেকে নানা সুবিধা পেয়ে থাকেন প্রবাসীরা। তবে কুয়েতের অনেক প্রবাসী এ বিষয়ে অবগত না থাকায় নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অবস্থায় সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলো সম্পর্কে আরও প্রচার চালানোর দাবি প্রবাসীদের।
প্রবাসী কর্মীদের সার্বিক কল্যাণে ১৯৯০ সালে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল গঠন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সাল থেকে আইন কার্যকরের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড একটি সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
প্রবাসী কর্মীদের আইনগত সহায়তা দেয়া, প্রবাসে আটকে পড়া কর্মীদের দেশে ফেরত আনা, দুর্ঘটনায় আহত ও অসুস্থ প্রবাসী কর্মীদের আর্থিক সহায়তাসহ নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে প্রশংসিত হচ্ছে এই কল্যাণ বোর্ড। তবে অনেক প্রবাসীই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে না জানার কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান জানান, প্রবাসী কর্মীদের সাময়িক অবস্থানের জন্য বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার চালু হয়েছে। এখানে তারা নূন্যতম খরচে বিদেশে যাওয়ার সময় বা বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময় অবস্থান করতে পারবেন।
এরই মধ্যে নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় অনেক কুয়েত প্রবাসী ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য হতে আগ্রহী। তবে অনেকের অভিযোগ, বয়স ৬৫ বছরের বেশি হওয়ায় সদস্য হতে পারছেন না অনেকেই।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড সংক্রান্ত তথ্য বেশি বেশি প্রচারণার আহ্বান প্রবাসী বাংলাদেশিদের।