কুকুর কামড়ালে যা করবেন
কুকুরের কামড়ের যন্ত্রণা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন। কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক সংক্রমণ, যার ফলে স্নায়ুতে সমস্যা হয়। এর কারণে মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হয়। মূলত রেবিস ভাইরাসের সংক্রমণে এ রোগ হয়, যা শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কেবল পোষা কুকুর থেকেই নয়, রাস্তায়ও অনেক সময় কুকুর কামড়াতে পারে। কুকুর কামড়ালে প্রাথমিকভাবে কী করবেন, সেটি জানিয়েছে লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
ক্ষত পরিষ্কার করুন –
প্রথমে পরিষ্কার পানি দিয়ে ক্ষত পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করতে পারেন জায়গাটি ভালোভাবে পরিষ্কারের জন্য। এটি ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।
তবে পরিষ্কার করার সময় ক্ষতস্থানে ঘষাঘষি করবেন না। রক্ত পড়া বন্ধ করার জন্য জায়গাটিকে শক্তভাবে চেপে ধরুন। এটা একটা ভালো প্রাথমিক চিকিৎসা কুকুর কামড়ানোর।
ব্যান্ডেজ –
ক্ষতস্থানে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম, অ্যান্টিসেপটিক ওয়েনমেন্ট লাগাতে পারেন। যদি জায়গাটি খোলা রাখেন, তাহলে ধুলাবালি থেকে সংক্রমণ বাড়বে। তাই ক্ষতটিকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ব্যান্ডেজ বাঁধুন।
ব্যথার ওষুধ –
যদি অনেক বেশি ব্যথা হয়, তবে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামলজাতীয় ব্যথার ওষুধ খাওয়া যেতে পারে এ সময়।
টিটেনাস ইনজেকশন –
প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে টিটেনাস ইনজেকশন দিন। এটি খুব জরুরি বিষয় কুকুর কামড়ানোর পর। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ইনজেকশন নিতে হবে।
কখন বুঝবেন অবস্থা খারাপ হচ্ছে –
লাল ভাব, ফোলা ভাব হলে, ব্যথা বেশি বেড়ে গেলে, জ্বর এলে—কোনোভাবেই সমস্যাটিকে এড়িয়ে না গিয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।