কান পেকেছে ! কি করবেন জেনেনিন
শিশুকে গোসল করানোর সময় অনেকে সতর্ক থাকেন। কোনোভাবেই যেন কানে পানি না ঢোকে। কেননা কানে পানি ঢুকে কান পাকার আশঙ্কা থাকে। এত বিচলিত না হয়ে তখন শিশুকে সঠিক চিকিৎসা দিতে হবে।
কেন কান পাকে শিশুর?
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান এ এফ মহিউদ্দীন খান বলেন, শিশুকে খাওয়ানোর পদ্ধতিতে অনেক সময় কিছু ভুল হয়। যেমন শিশুকে চিত করে শুইয়ে খাবার খাওয়ানো হয়। এটি ঠিক নয়। এর কারণে অনেক সময় কান পাকার মতো সমস্যা হতে পারে। আবার যেসব শিশুর শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ হয়, অর্থাৎ যাদের প্রায়ই সর্দি, কাশি, গলাব্যথা বা এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে, তাদের কান পাকার আশঙ্কা বেশি থাকে। অ্যাডেনয়েডের সমস্যা বা টনসিলের অস্ত্রোপচার হয়ে থাকলে কান পাকতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন
কানে ব্যথা বা ভারী অনুভব হওয়া কান পাকার অন্যতম লক্ষণ। কিছুদিন কানে ব্যথা বা অস্বস্তি হওয়ার পর হঠাৎ করে কান থেকে পুঁজ বা অন্য কোনো ধরনের তরল বের হয়ে আসতে পারে। ছোট শিশুরা ব্যথায় কান্নাকাটি করতে থাকে।
প্রতিকার ও প্রতিরোধ
শিশুর কান থেকে যদি কোনো তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে, তাহলে তার কান পরিষ্কার করে দিতে হবে। তবে কান পরিষ্কার করতে গিয়ে কানে খোঁচাখোঁচি করা যাবে না, এতে শিশু কানে আঘাত পেতে পারে। কানে ব্যথা থাকলে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। শিশুকে কানে ব্যবহার করার ওষুধ দিতে হতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ শিশুর কানে দেবেন না। শিশুর কান পাকলে গোসলের সময় তার কানে অবশ্যই তুলা গুঁজে দেবেন, যেন কানে কোনোভাবেই পানি না ঢোকে। অন্য কোনোভাবে শিশুর কানে যেন পানি না ঢোকে, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে। কোনো সুস্থ শিশুকেও কখনো চিত করে শুইয়ে খাবার খাওয়ানো যাবে না। এমনকি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ও মাথার দিকটা সামান্য উঁচু করে ধরে রাখা উচিত।
হতে পারে জটিলতা
কান পাকা একটি সাধারণ রোগ। তবে দীর্ঘদিন ধরে যদি এ রোগে শিশু ভুগতে থাকে এবং যদি তার চিকিৎসা না-করানো হয়, তাহলে পরবর্তী সময়ে শিশু বধির হয়ে যেতে পারে। তবে কান পাকলেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের জটিলতা হয় না। আর কিছু শিশুর একবার কান পাকা ভালো হয়ে গেলেও বারবার কান পাকতে পারে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।