ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পর কী কী সমস্যা হতে পারে
বর্তমান সময়ে ‘ইমার্জেন্সি পিল’ একটি জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই ওষুধ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান কতটা গভীর? এবং আমরা যা জানি, তার যথার্থতাই বা কতটুকু?
ইমার্জেন্সি পিল একটি হরমোনাল ওষুধ যা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ বা ওভুলেশনের প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে অথবা নিষিক্ত ডিম্বাণুকে জরায়ুতে প্রতিস্থাপন হওয়া বাধাগ্রস্ত করে। তবে, যাদের ইতিমধ্যে ওভুলেশন হয়ে গেছে কিংবা নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে স্থাপিত হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ কার্যকর নয়।
সেবনবিধি
অপরিকল্পিত এবং অনিরাপদ সহবাসের পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে ওষুধটি সেবন করা আবশ্যক। তবে, যত দ্রুত এটি গ্রহণ করা হয় ততই এর কার্যকারিতা বেড়ে যায়। একটি ঋতুস্রাব চক্রে শুধুমাত্র একবার এই পিল গ্রহণ করা যেতে পারে।
কারা খেতে পারবেন
১. যাঁরা কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ব্যবহার করছেন না।
২. কনডম ছিঁড়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে।
৩. পরপর দুই-তিন দিন জন্মনিয়ন্ত্রণের নিয়মিত পিল খেতে ভুলে গেলে।
কারা খাবেন না
১. যাঁদের এই ওষুধ খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হয়।
২. যাঁরা ইতিমধ্যে গর্ভধারণ করে ফেলেছেন।
৩. যাঁদের ঋতুস্রাব অনিয়মিত বা অতিরিক্ত রক্ত যায়।
খাওয়ার পর যেসব সমস্যা হতে পারে
১. বমি বমি ভাব।
২. তীব্র মাথাব্যথা।
৩. ওজন বৃদ্ধি।
৪. পরবর্তী ঋতুস্রাব আগে বা দেরিতে হতে পারে, অতিরিক্ত রক্ত যেতে পারে।
৫. ঋতুস্রাব অনিয়মিত হতে পারে।
৬. পরবর্তী সময়ে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে (ঘন ঘন ওষুধ খেলে)।
যখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে
১. রক্ত এক সপ্তাহের বেশি গেলে।
২. পেটে তীব্র ব্যথা তিন-পাঁচ সপ্তাহের বেশি থাকলে।
৩. ওষুধ সেবনের দুই ঘণ্টার মধ্যে বমি হলে।
৪. তিন সপ্তাহের মধ্যে ঋতুস্রাব না হলে।
যাঁরা নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ব্যবহার করছেন…
এটি গুরুত্বের সাথে মনে রাখা আবশ্যক যে, ‘ইমার্জেন্সি পিল’ কোনো নির্ভরযোগ্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নয়। এটি কেবলমাত্র অনিয়ন্ত্রিত সহবাসের পরবর্তী সময়ে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। তাই, নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য যেসকল পদ্ধতি আপনি অনুসরণ করছেন, তা যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।