দৈনিক খবর

শাবনূরের পায়ের সমানও যোগ্যতা নেই, এসব শুনে কাঁদতাম: পূর্ণিমা

স্বামী-সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবসর সময় কাটাচ্ছেন দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। গত মঙ্গলবার সপরিবার সিডনি পৌঁছেছেন তিনি। সফরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন স্বামী আশফাকুর রহমান এবং কন্যা আরশিয়া উমাইজা।

এটাই পূর্ণিমার প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফর। সিডনির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার পরিকল্পনা নিয়েই এ সফরে গিয়েছেন পূর্ণিমা। সিডনির বিভিন্ন জায়গা ঘুরছেন তিনি। মুহূর্তগুলো শেয়ার করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

আজ শুক্রবার বিকেলে সিডনি থেকে ‘সারপ্রাইজ লাইভ’ লেখা ক্যাপশন দিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন পূর্ণিমা। ওই লাইভে পূর্ণিমার সঙ্গে দেখা যায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূরকে।

সেখানে এই দুই জনপ্রিয় নায়িকা দুইজনের নানা প্রশংসায় ফেটে পড়েন। তখন শাবনূরকে বলেন, ‘পূর্ণিমা সিডনিতে এসেছে শুনে তাকে খোঁজ করা শুরু করি। হারিকেন জ্বালিয়ে খোঁজার পর তাকে পেয়েছি।’

শাবনূরকে গুণী ব্যক্তি আখ্যায়িত করে নিয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘শাবনূর আপু তখন সুপার-ডুপার হিট । আপুর যন্ত্রণায় তখন আমরা কেউ পা রাখতে পারছিলাম না এবং কোনো ছবির ধারে-কাছেও যেতে পারছিলাম না। যখনই আমি শ্যুটিং করতাম তখন আমাদের কোরিওগ্রাফার-ডিরেক্টর ছিলেন তারা বলতেন ‘কি এক্সপ্রেশন দাও শাবনূরের মতো করো’ ‘শাবনূরকে নকল করো’ তার পায়ের যোগ্যতা তোমার নেই। তখন আমি কর্নারে গিয়ে কান্না করতাম

আবেগাপ্লুতা হয়ে শাবনূর বলেন, ‘অনেকদিন পর পূর্ণিমাকে দেখে ভালো লাগছে। ওকে দেখে আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আছে। ওকে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে।’ এসময় শাবনূর পূর্ণিমাকে অস্ট্রেলিয়াতে থেকে যাওয়ার জন্য বলেন।

আমাদের মধ্যে দা-কুড়াল সম্পর্ক না জানিয়ে পূর্ণিমা বলেন, আপনাকে দেখেন আমার মিলে ঝুলে আছি। আমাদের মধ্যে কোনো দা-কুড়াল সম্পর্ক নেই। শাবনূর বলেন, ‘তোমাদের সবার ভুল ধারণা, আমাদের মধ্যে কোনো দা-কুড়াল সম্পর্ক না।

আমার যখন একসঙ্গে থাকি তখন অনেক ফান হয়। আসলে এটা কেই জানে না। এটা হচ্ছে পর্দ্দার পেছনে। ফেরদৌস থাকলে আরও অনেক মজা হয়।’ তখন পূর্ণিমা বলেন, ‘বেশি বেশি বললে সবাই আবার বিশ্বাস করে ফেলবে।’

Related Articles

Back to top button